ত্যাগের মহিমায় উৎযাপিত হোক ঈদুল আযহা! পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার। ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার বলেন মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।
ঈদুল ফিতর এক মাস সিয়াম সাধনা পালনের পর অনুষ্ঠিত হয়। আর ঈদুল আযহা পশু কোরবানির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। ঈদুল আযহার তাৎপর্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসলে আমরা কোরবানি দিতে পারলেই মনে করি ঈদ উৎযাপন হয়ে গেল। কিন্তু না এর প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। কোরবানির রেওয়াজ কিভাবে আসল কোথায় থেকে শুরু হল।
মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে ইব্রাহীম (আঃ) তার কলিজার টুকরা সন্তান হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কোরবানি করতে বলেন। সৃষ্টি কর্তার নির্দেশে ছেলেকে মাটিতে ফেলে কোরবানি করবেন ওই সময় মহান আল্লাহ তায়ালার কুদরতে ছেলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়। এখানে মুসলিম জাতির জন্য অনেক শিক্ষা রয়েছে। কারন মহান রবের পরিক্ষায় বাব ছেলে উত্তীর্ণ হয়েছেন। মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনে ছেলেকে কোরবানি দিতে কোন ধরনের কষ্ট হয়েছিল না। কারন একটাই মহান রবের সন্তষ্টি অর্জন করা।
আমাদের কেও লোক দেখানো কিংবা মাংস খাওয়ার উদ্দেশ্যে কোরবানি দিলে হবে না। আপনার তিলেতিলে অর্জন করা কষ্টার্জিত টাকায় মহান রবের সন্তোষ্টি অর্জনের জন্য দিতে হবে কোরবানি। আমি অনুরোধ করব কোন ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠীকে দেখানোর জন্য কোরবানি দিলে আমার মনে হয় শুধু দেওয়ায় হবে আর মাংস খাওয়াই হবে।
আগামী ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আযহা। ত্যাগের মহিমায় উৎযাপিত হোক ঈদুল আযহা। আমার এলাকা ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জের আপামর জনসাধারণের ঘরে ঘরে বয়ে যাক ঈদের আনন্দ। যারা কোরবানি দিচ্ছেন এবং যারা দিতে পারছেন না তাদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার। ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করে আগামীতে সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন যারা কোরবানি দিচ্ছেন মাংস বিতরনের আগে লক্ষ করতে হবে আশেপাশে কোন প্রতিবেশী দিতে পারেনি তাকে আগে দিতে হবে এবং তার হোক বেশি এটা আমার কথা না আমাদের নবী করিম (সাঃ) নির্দেশনা।
ঈদুল আযহা থেকে আরো শিক্ষা নিয়ে বাকি জীবন পরিচালনাসহ দেশ গঠনে কাজ করি এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা মুসলমান আমরা যেন একে অপরের কল্যানে কাজ করতে পারি এজন্য মহান রব আমাদের কোরবানি, নামাজ রোজা হজ্জ যাকাত সব কিছু যেন কবুল করেন।
আর আপনারা আমার মা বাবার জন্য দোয়া করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে জানাই ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।