দুর্ঘটনার অপেক্ষায় ঈশ্বরগঞ্জের ষোলকুড়ি সেতু

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি: দুর্ঘটনার অপেক্ষায় ঈশ্বরগঞ্জের ষোলকুড়ি সেতু। প্রায় ছয়মাস আগে দেবে যায় সেতুটির একপ্রান্ত। তারপর থেকে মাটি ও ইট দিয়ে ফাটল ভরাট করে কোনোরকমে চলছে যাতায়াত। বন্ধ রয়েছে মাঝারি ও ভারী যান চলাচল। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে ধসেপড়া সেতুর উপর দিয়েই চলাফেরা করছে সাধারণ মানুষ।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া গ্রামের ষোলকুড়ি খালের উপর ধসেপড়া সেতুটি এখন এলাকাবাসীর মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। বিকল্প মাধ্যম না থাকায় এলাকাবাসী ধসে পড়া সেতুর উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

সরেজমিন জানা যায়, ষোলকুড়ি খালের উৎসমুখ মাইজবাগ ইউনিয়নের উত্তমপুরে আর পতিতমুখ জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারলী বাঘজুড়ি খালে। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ খালটির জাটিয়া স্কুল মোড়ের অদূরেই সেতুটির অবস্থান। উপজেলার লক্ষীগঞ্জ কুমারুলী সড়ক ও হারুয়া খালবলা সড়কের সংযোগ স্থাপনকারী পাকা সড়কের ওপর নির্মিত সেতুটির গুরুত্ব স্থানীয়দের কাছে অপরিসীম।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ছয়মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক অপরিকল্পিতভাবে খাল খননের ফলে দেবে যায় সেতুটি। বর্তমানে সেতুটির উপর দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে সাত আটটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে।

জাটিয়া গ্রামের হাজী মো. ইদ্রিস আলী (৬৫) জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ষোলকুড়ি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রায় ছয়মাস আগে সেতুটি দেবে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি। জনদুর্ভোগ লাঘবে ষোলকুড়ি সেতুটি নির্মাণ করা একান্ত জরুরি।

জাটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক ঝন্টু বলেন, দেবে যাওয়া সেতুটি এলাকাবাসীর দুর্ভোগের অন্যতম কারণ। ইতোপূর্বে আমি উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় সেতু নির্মাণের বিষয়টি উত্থাপন করেছি।

উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদ আহমেদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিতভাবে খাল খননের ফলেই ধসে পড়েছে সেতুটি। জনগুরুত্বসম্পন্ন এ সেতুটি নির্মাণকল্পে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সেতুটি নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Comment

error: Content is protected !!