২য় মুদ্রণেও পাঠক নন্দিত কবি মাহবুব রুমন’র “পদ্যবাড়ির অন্দরমহল”

বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ ইং এর আয়োজন শেষের দিকে। প্রতিবছর বইমেলাকে ঘিরে নবীন প্রবীণ লেখকদের সহস্র বই প্রকাশিত হয়। নতুন নতুন বইয়ের গন্ধে পুলকিত হয় পাঠকের মন। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে লেখক ও পাঠক। এরই ধারাবাহিকতায় কবি মাহবুব রুমন’র “পদ্যবাড়ির অন্দরমহল” কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের পর ব্যাপকভাবে সাড়া পাওয়ায় দ্বিতীয় মুদ্রণেও পাঠক নন্দিত হওয়ায় প্রসংশায় ভাসছেন।

বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ছায়াবীথি প্রকাশনী। এসময়কার জনপ্রিয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ছায়াবীথি প্রকাশনের ব্যানারে শুভেচ্ছা মূল্য ধরা হয়েছে ২২৫ টাকা। বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩-এর ছায়াবীথি প্রকাশনী’র (৪৪৯-৪৫২) নং স্টলে। স্টল ছাড়াও রকমারি ও ছায়াবীথি প্রকাশনীতে পাওয়া যাবে বইটি।

বইটি সম্পর্কে সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, লেখালেখি মানুষ নিজের তাড়নায় করে। কেউ লেখেন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে, কেউ লেখেন মনের আনন্দে। নবীন কবি মাহবুব রুমন  মনের আনন্দে সরল অভিব্যক্তি প্রকাশের কবি। কেউ লেখে কেউ দেখে, লেখায় সে প্রবীণ লেখক,কবি। বয়সে নবীন। ‘পদ্যবাড়ির অন্দরমহল’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো শব্দচয়ন, দৃশ্যকল্প ও ছন্দের সঠিক ব্যবহারে কবিতাগুলো প্রাঞ্জল হয়ে উঠেছে। প্রেম-প্রকৃতি আর আবেগ মিশ্রিত অনুভূতিতে ঋদ্ধ মাহবুব রুমন’র কবিতা। কবির হৃদয় আবেগের পরিপূর্ণ প্রকাশ লক্ষ্য করা যায় তার ছোট ছোট কবিতাগুলোতেও। তেমনি একটি কবিতা–

“চারুবালা!
তোমাকে দেখতে না পাওয়ার ক্ষত
আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে
আজন্মের জন্ম দাগের মতো।
জাফরান, রেশমের অবয়ব ঢেকেও
দগদগে সে ক্ষত থেকে যাবে অক্ষত।”

কবি বলেন, অধরা মোহন স্বপ্ন পাঠকের মনের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে ফলে বইটি পাঠক নন্দিত  হওয়ায় তিনি ভালোবাসা জানান প্রকাশক ও পাঠকমহলকে।

সাক্ষাতকারের মাধ্যমে কবির জীবনী সম্পর্কে জানা যায়, সনামধন্য এই কবি নেত্রকোণা জেলার, পূর্বধলা উপজেলায় ধলামুলগাঁও গ্রামে ২২ নভেম্বর ১৯৯০ জন্মগ্রহণ করেন।  প্রতিভাবান এই কবি শৈশবজীবন গ্রামে কাটালেও উচ্চমাধ্যমিক সৈয়দ নজ্রুল কলেজ-ময়মনসিংহ ও পরে উচ্চশিক্ষা’র জন্য  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনা শেষ করে ৩৬ তম BCS এর প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন।

বর্তমানে তিনি পদোন্নতি লাভ করে এসিল্যান্ড ( assistant commissioner Land) পদে কর্মজীবন অতিবাহিত করছেন। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও মা হাজেরা খাতুন। প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রথ: “কাব্য টোকাইয়ের অভিষেক”। দ্বিতীয় সফল পাঠক নন্দিত প্রকাশিত কাব্যগ্রথ : “পদ্যবাড়ির অন্দরমহল”। মানবতার টানে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। কবি ও কবিতার খেদমতে বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের নিয়মিত সঙ্গী। ৫ম শ্রেণী থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি।

তাছাড়াও পরবর্তিতে তিনি জাতীয় দৈনিকসহ, বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও স্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, পাক্ষিক এবং বার্ষিক পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। পাশাপাশি মাসিক ম্যাগাজিনেও লেখালেখি করেন তিনি।

Leave a Comment

error: Content is protected !!