পৌনে এক শতাব্দীতে আওয়ামী লীগ-সোহেল সানি

পৌনে এক শতাব্দীতে আওয়ামী লীগ-সোহেল সানি। প্রায় পৌনে এক শতাব্দীর দ্বার প্রান্তে যে আওয়ামী লীগ, তার ২২তম জাতীয় সম্মেলন হয়ে গেল ২৪ ডিসেম্বর, শনিবার। সেই আওয়ামী লীগের ভূমিষ্ঠকালীন বেদনা, মাতৃত্বকালীন প্রসববেদনার মতো অসহনীয় কষ্টের!

আগেই দলের রূপকার গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী করাচি থেকে স্টিমারযোগে পূর্ব বাংলার উদ্দেশে রওনা হলে তাকে গতিরোধ করা হয় নারায়ণগঞ্জে। তাকে মানহানিকর অবস্থায় ফিরে যেতে হয় করাচিতে। পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মুসলিম লীগের নাম ‘জাতীয়তাবাদী লীগ’ রাখার প্রস্তাব করে সদস্য পদ থেকেই বহিষ্কৃত হন।

পাকিস্তান প্রস্তাবক সোহরাওয়ার্দী। সেই তাকেই ‘ভারতের লেলিয়ে দেওয়া কুকুর’ বলেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নবাবজাদা লিয়াকত আলী খান। মুসলিম লীগের সভাপতি খলীকুজ্জমান চৌধুরী সোহরাওয়ার্দীর অনুসারীদের লীগে প্রবেশ বন্ধ করে দেন। পাকিস্তান অভ্যুদয়ের পরের বছর ভাষাসংগ্রাম শুরু হলে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে। উপনির্বাচনে বিজয়ী শামসুল হকের কেড়ে নেওয়া হয় পরিষদ সদস্য পদ। তার আগে দক্ষিণ টাঙ্গাইলের ঐ একই আসনে মওলানা ভাসানী বিজয়ী হলেও তার সদস্য পদ কেড়ে নিয়ে নির্বাচনেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

এ রকম এক বৈরী পরিস্থিতিতে দল গঠনে ডাকা হয় ‘মুসলিম লীগ কর্মী সম্মেলন’। ঢাকায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় খান সাহেব ওসমান আলীর অনুপ্রেরণায় নারায়ণগঞ্জের রহমতগঞ্জ ইনস্টিটিউটে, সেখানেও বাধা। তারপর পাইকপাড়া। সেখানেও বিপত্তি। সরকারি পেটোয়া বাহিনীর রক্তচক্ষুর আড়ালে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী বশীর হুমায়ুন তখন বললেন, সম্মেলন করুন আমার রোজগার্ডেনে। সরকারি চোখ ফাঁকি দিয়ে সম্মেলনের দুই দিন আগেই রাতের আঁধারে শওকত আলী গায়ে কম্বল জড়িয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে ভাসানীকে পৌঁছে দেন রোজগার্ডেনে। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুনে ঢাকার স্বামীবাগের বিখ্যাত রোজগার্ডেনে প্রায় ৩০০ কর্মীর ঐ সম্মেলনে প্রথমে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত পরিবেশন করেন মওলানা রাগীব আহসান।

শামসুল হক ‘মূল দাবি’ নামে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, ‘ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহ কেবল মুসলমানের নহে, জাতি, ধর্ম ও বর্ণনির্বিশেষে সমগ্র মানবের।…মানবতার চূড়ান্ত মুক্তিসংগ্রাম যাতে বিলম্বিত না হয়, সেজন্য জনতাকে তাহাদের সমস্ত ব্যক্তিগত এবং দলগত বিভেদ বিসর্জন দিয়া এক কাতারে সমবেত হইতেই মুসলিম লীগ কর্মী-সম্মেলন আহ্বান জানাইতেছে।’ ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হলে মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে স্বাগত জানান কর্মীরা। সম্মেলন চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের এককালীন সভাপতি অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে নবগঠিত দলকে স্বাগত জানিয়ে কয়েক মিনিট বক্তৃতা করে চলে যান। তখন চলছিল পাকিস্তানে চরমতম রাজনৈতিক সংকট। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে প্রথমে বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব বাংলাকে বেছে নেওয়া হয় দল গঠনের জন্য। পাকিস্তান প্রস্তাবক স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী দল গঠনের মূল ভরসা।

বাংলার প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় সর্বস্ব হারিয়ে করাচিতে আসেন। পড়ল পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর আড় চোখ। অথচ সোহরাওয়ার্দী-আবুল হাশিমের বঙ্গীয় মুসলিম লীগ ভারতের প্রদেশগুলোর মধ্যে বাংলায় কেবল নিরঙ্কুশ জয় পায়। সোহরাওয়ার্দীকে পূর্ব বাংলায় নিষিদ্ধ করলেন যে মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন, সেই তিনি গণপরিষদের সদস্য হন সোহরাওয়ার্দীরই ছেড়ে দেওয়া কলকাতার আসনের উপনির্বাচনে। এরপর ১৯৪৯ সালের ৯ জুন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পূর্ব বাংলায় আসেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের অস্থায়ী আহ্বায়ক দবিরুল ইসলামের হেবিয়াস কপার্স মামলা পরিচালনার কথা বলেন। তিনি একান্ত অনুগামী শওকত আলীর পরামর্শে ক্যাপ্টেন শাহজাহানের পুরান ঢাকায় ‘নূরজাহান বিল্ডিং’-এ ওঠেন।

পুরান ঢাকার ১৫০ মোগলটুলীর মুসলিম লীগের নবীন কর্মীরা দলের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা জানান নেতাকে। সোহরাওয়ার্দীর পরামর্শে ইতিপূর্বে টাঙ্গাইলে ফেরা আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে ঢাকায় ঘাঁটি বাঁধতে বলেন। শাহজাহানের বাসায় সোহরাওয়ার্দী ও ভাসানীর মধ্যে দল গঠন নিয়ে সলাপরামর্শ হয়। মওলানা ভাসানী আসামের ধুবড়ী জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ঢাকায় আসেন এবং আলী আমজাদ খানের বাসায় ওঠেন।

যাহোক, বৈঠকে ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট সাখাওয়াত হোসেন, কুষ্টিয়ার শামসুদ্দীন আহমেদ, ঢাকার শওকত আলী, আলী আমজাদ খান, খন্দকার আব্দুল হামিদ ও ইয়ার মোহাম্মদ খানও ছিলেন। বৈঠকে প্রস্তুতি কমিটি গঠন নিয়ে শুরুতেই বিরোধ হয়। আলী আমজাদ খানকে আহ্বায়ক ও ইয়ার মোহাম্মদ খানকে সম্পাদক করা হলে শওকত আলী ও খন্দকার আব্দুল হামিদ বিরোধিতা করেন। পরে মওলানা ভাসানীকে আহ্বায়ক ও ইয়ার মোহাম্মদ খানকে সম্পাদক করে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।

সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কারণে সম্মেলনে যোগ দিতে না পারলেও তারই দিকনির্দেশনায় আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। ১৯৫০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। নিজে সভাপতির আসন অলংকৃত করে অবাঙালি মাহমুদুল হক ওসমানীকে সাধারণ সম্পাদক করেন। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি করা হয় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্মসম্পাদক করা হয়। পাঁচ জন সহসভাপতি আতাউর রহমান খান, সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ খান, আলী আহমেদ খান ও আব্দুস সালাম খান। যুগ্মসম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও আরেক জন ছিলেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। সহ-যুগ্মসম্পাদক করা হয় এ কে রফিকুল হোসেনকে।

পরের দিন আরমানীটোলায় জনসভা করা হলো। কিন্তু সরকারের ইশারায় সেই ২৪ জুনের জনসভায় বাদশা বাহিনীর দল হামলা চালাল। ১৯৪৯ সালের ১১ অক্টোবর দ্বিতীয় জনসভাও আরমানীটোলায়। ঐদিন ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নবাবজাদা লিয়াকত আলী খান। খাদ্যসংকটের প্রতিবাদে আরমানীটোলা থেকে আওয়ামী মুসলিম লীগ বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে গভর্নর হাউজ অভিমুখে রওনা হয়। পথিমধ্যে গ্রেফতার হন ভাসানী, শামসুল হকসহ অনেক নেতা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে শেখ মুজিব করাচিতে নেতা সোহরাওয়ার্দীর কাছে চলে গেলেও এসেই গ্রেফতার হন।

১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি মুক্তি পেয়ে ঢাকার ৯০ নবাবপুরে একটা রুমে দুইটা টুল, একটা টেবিল, দুইটা চেয়ার নিয়ে অফিস খুলে বসেন। ওখানে দলের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। ভবঘুরে মোহাম্মদউল্লাহ (পরে রাষ্ট্রপতি ও বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মোশতাকের উপরাষ্ট্রপতি) কাজ চাইলে শেখ মুজিব তাকে দপ্তর সম্পাদক করেন।

ছাত্রলীগই কার্যত আওয়ামী লীগের মাতৃসংগঠন। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শাসকরা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে পূর্ব বাংলার মানুষকে কোণঠাসা করে রাখার কারণে পুঞ্জীভূত হওয়া ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ এই দল। পাকিস্তানি শাসকবর্গ এবং মুসলিম লীগ নতুন দলটির আবির্ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানীকে ‘ভারতীয় চর’ বলে প্রচার চালিয়ে বাঙালিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু আওয়ামী মুসলিম লীগের ৪০ সদস্যের ওয়ার্কিং কমিটি দলকে দ্রুত একটি শক্তিমান সংগঠনে পরিণত করতে থাকে।

নতুন দলটির অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার (যার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমিন এবং সে সময় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দীন) সন্ত্রাস, গোলযোগ সৃষ্টি এবং দমন-নিপীড়ন চালাতে থাকে। তারা আইনের অপপ্রয়োগ ঘটিয়ে নতুন দলের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। তবুও প্রতিরোধের মুখে পড়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ সংগ্রামী দল হিসেবে আরো দ্রুত বিকাশ লাভ করতে থাকে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সর্ব পর্যায়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার-সম্পর্কিত বিষয়গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরে। শেখ মুজিব ১৯৫২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন দাবিতে কারাগারের ভেতর অনশন শুরু করেন। এতে আন্দোলন হয়ে ওঠে আরো বেগবান। একই বছর পুনরায় ভাসানী ও শামসুল হক গ্রেফতার হন। কারাগারে শামসুল হকের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হলে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।

১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের ঘোষণায় আত্মনিয়ন্ত্রণের পূর্ণ অধিকারসহ পূর্ব বাংলার জন্য লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান, বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি প্রথার উচ্ছেদ, কৃষকদের মধ্যে কৃষিজমির বণ্টন, তেভাগা নীতির বাস্তবায়ন, রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে সমবায় ও যৌথ কৃষিব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা এবং সব দেশি ও বিদেশি মৌলিক শিল্পকে রাষ্ট্রায়ত্তকরণের দাবি জানানো হয়। পাকিস্তানকে সাম্রাজ্যবাদ ও বিদেশি প্রভাবমুক্ত একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত করার অঙ্গীকারও ছিল এ ঘোষণায়।

১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর বৈরুতে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর রহস্যময় মৃত্যু ঘটে। এরপর আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন শেখ মুজিবুর রহমান। আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান খান ও আবুল মনসুর আহমদসহ দলের প্রবীণ নেতারা বিরোধিতা করেন। ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের সভাপতিত্বে শেখ মুজিবের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়।

৬ মার্চ প্রায় ১ হাজার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে মাওলানা তর্কবাগীশকে সভাপতি ও শেখ মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। তারপর ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর জাতীয় কনভেনশনে শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি উত্থাপন করেন।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ১ মার্চ ঢাকার হোটেল ইডেনে আহ্বান করেন সামরিক শাসনোত্তর দলের বৃহত্তম কাউন্সিল অধিবেশন। এ কাউন্সিলে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাজউদ্দীন আহমদ।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিল করেন ১৯৭২ সালে। বঙ্গবন্ধু সভাপতি হয়ে সাধারণ সম্পাদক করেন জিল্লুর রহমানকে। ’৭৪ সালের কাউন্সিল করে বঙ্গবন্ধু সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। এতে এইচ এম কামারুজ্জামানকে সভাপতি ও জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৮১ সালের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সভাপতি ও আবদুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার পরের ইতিহাস অনেকেরই জানা। গত শনিবার সর্বশেষ সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতির পদ ছাড়তে চাইলেও কাউন্সিলরগণ ‘না, না’ শব্দের মাধ্যমে প্রকারান্তরে তাকেই আবার বরণ করে নেন।

ইতিহাসের কী অপূর্ব যোগসূত্র, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু এবং আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীন ও আধুনিক বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনা আজ একই সুতোয় গাঁথা।

লেখক:
সোহেল সানি
সিনিয়র সাংবাদিক,
কলামিস্ট ও ইতিহাস গবেষক

Leave a Comment

error: Content is protected !!