১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি

১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা দিবস বাস্তবায়ন পরিষদ’। বুধবার (১ ডিসেম্বর ২০২১) রাজধানীর তোপখানার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

পরিষদের বক্তারা বলেন, ‘যাদের ত্যাগ ও সংগ্রামের বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম, তাদের বিশেষভাবে স্মরণ করতে ও শ্রদ্ধা জানাতে একটি দিবস থাকা দরকার। তা হলো ১ ডিসেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা। এ দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় দুই দশকের দাবি পূরণ হবে।’

এসময় বক্তব্য রাখেন পরিষদের চেয়ারম্যান (মুক্তিযোদ্ধা দিবসের প্রস্তাবক) মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান, সাবেক উপমন্ত্রী ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী, সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি মো. আনোয়ার হোসেন (চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় বিজয় মঞ্চ), বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফরিদ উদ্দিন মিয়াজি (সদস্য সচিব, মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় বিজয় মঞ্চ), গণ আজাদী লীগের মহাসচিব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, মুক্তিযোদ্ধা দিবস বাস্তবায়ন পরিষদের কো চেয়ারম্যান লায়ন ডা. কবি আফরোজা বেগম হ্যাপী, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরওয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ ওয়াশিমুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম কাদের, বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেস এর চেয়ারম্যান শেখ শহিদুজ্জামান, চেয়ারম্যান কেএসপি ও সাংবাদিক লায়ন সালাম মাহমুদ, আমরা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংঠনের সভাপতি কে এম মুজিবুর রহমান মজনু, জাতীয় জাগো নারী ফাউন্ডেশনের সভাপতি রেহানা আক্তার বেনু, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. ইদ্রিস।

এছাড়াও এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রণাঙ্গনের অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের গর্বিত সন্তানেরা।

বক্তারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমের স্বাধীন রাষ্ট্র কায়েমের ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। আমাদের এ দাবি বহুদিনের। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস আর আত্মত্যাগ এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয় আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা এনে দিয়েছে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ, একটি মানচিত্র। তাই এই মাসের প্রথম দিনে তাঁদের স্মরণের দিবসটি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।’

পরিষদের বক্তারা আরও বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর শ্রদ্ধার সাথে ভাষা শহীদদের স্মরণে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যেভাবে দেশ ও জাতি এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমরা আশাবাদী তিনি খুব শীঘ্রই ১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেবেন।’

Leave a Comment

error: Content is protected !!