মুনিয়ার বাম হাত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন

মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন মহলে। মুনিয়ার বাম হাত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারসহ কুমিল্লার সাধারণ মানুষের একটি বিশাল অংশের দাবি মুনিয়াকে হত্যার পর লাশ ঝুলিযে রাখা হয়েছিল। এসব সংশয়ের উত্তর খুঁজতে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে।

তারা জানান, গুলশানের যে ফ্ল্যাটে মুনিয়ার লাশ পাওয়া গিয়েছিল, ওই বাসার তালাটি ছিল অটো। অর্থাৎ ভেতর ও বাইর যেদিক থেকে টান দেওয়া হোক না কেন, তা বন্ধ হয়ে যাবে। যেকোনো দিক থেকে দরজাটি খুলতে চাবির দরকার হবে।

মুনিয়ার বোন নুসরাত জানান, ‘আমরা মুনিয়ার লাশ স্পর্শ করিনি, লাশ স্পর্শ করেছে পুলিশ। আমরা তার বাম হাতে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। সকাল ১১টায় সর্বশেষ আমার সাথে মুনিয়ার কথা হয়। দুপুর ২টার দিকে আমি, আমার স্বামী ও এক আত্মীয় মিলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই। ৫টার সময় ঢাকায় পৌঁছাই।’

উল্লেখ্য-২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ওই ফ্ল্যাটে বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের যাতায়াত ছিল। সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Comment

error: Content is protected !!