৬৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন

৬৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় সংখ্যায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি আসছে। আসন্ন বিজ্ঞপ্তিটি ‘চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি’ নামে পরিচিত হবে।

এ বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬৮ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে মামলাসংক্রান্ত জটিলতা দূর হয়েছে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়েছে। এখন যেকোনো সময় ‘গণবিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এর আগে দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় একসঙ্গে এত বেশি শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ মার্চ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে শূন্য পদ ছিল ৫৪ হাজার ৩০৪টি। ওই বিজ্ঞপ্তির আওতায় ফল প্রকাশ হয় গত বছরের ১৫ জুলাই। সেখান থেকে ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

এনটিআরসিএ থেকে জানা যায়, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর নিজ নিজ দপ্তরের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা এনটিআরসিএতে পাঠায়। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর নিয়োগ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, তিন দপ্তরের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষকের শূন্য পদের চাহিদা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩২ হাজার ৫০০টি, কারিগরি অধিদপ্তরের ১ হাজার ৯৬টি এবং মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ৩৬ হাজার ৫৬২টি শূন্য পদ। যাচাই-বাছাই করার পর তথ্যে মিল না থাকা বা অন্যান্য কারণে কিছু পদ বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রতিস্থাপনের কারণে কিছু পদ কমেছে।

এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে মামলাসংক্রান্ত যে জটিলতা ছিল, তা দূর হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়েছে। এখন আমরা এ-সংক্রান্ত চিঠির অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই চিঠি হাতে পাব। চিঠি পাওয়ামাত্র যেকোনো সময় চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’

কত সংখ্যক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে এমন প্রশ্নে ওবায়দুর রহমান বলেন, শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ৬৮ হাজার, কিছু কমবেশি হতে পারে।

নিয়োগে যেসব পরিবর্তন আসছে

এনটিআরসিএ থেকে জানা যায়, এবার আবেদন ফি কমিয়ে আনা হচ্ছে। এ ছাড়া অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতিও সহজ করা হচ্ছে। এর আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য ১০০ টাকা করে ফি নেওয়া হতো। চাকরিপ্রার্থী যত ইচ্ছা তত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারতেন। তবে এবার একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। সব আবেদনের ফি নির্ধারণ হবে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া আবেদনের নিচে লেখা থাকবে ‘পছন্দের ৪০টি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে মেধার ভিত্তিতে যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পান, তাহলে যোগ দেবেন কি না?’ সেখানে প্রার্থী ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বাছাই করতে পারবেন।

Leave a Comment

error: Content is protected !!