শিশুরও মন খারাপ হতে পারে-শরীফুল্লাহ মুক্তি

প্রতিটি শিশুই অনন্য, প্রতিটি শিশুই স্বতন্ত্র। একজন অন্যজন থেকে আলাদা, প্রত্যেকের সত্ত্বাও পৃথক। শিশুরও একটি সুন্দর মন আছে। আবার বিভিন্ন কারণে শিশুর সে কোমল মন বিষণ্ন হতে পারে। অনেকেই মন্তব্য করেন- শিশুর আবার মন খারাপ কী? আসলে এভাবে চিন্তা করা উচিত নয়।

শিশুর মনও নানা ধরনের আবেগ, অনুভূতি দ্বারা তাড়িত হতে পারে। বাস্তবতা হচ্ছে আধুনিক জীবনযাত্রার জটিলতা, প্রতিযোগিতা, একাকিত্ব, পড়াশোনার চাপ, বকাঝকাসহ নানাবিধ কারণ শিশুর কোমল হৃদয়কে সহজেই স্পর্শ করে; যা থেকে শিশুরও মন বিষণ্ন বা খারাপ হতে পারে।

সব শিশু এক রকম নয়। অনেক শিশু সহজে মন খারাপ করে না। আবার অনেক শিশু অল্পতেই মন খারাপ করে। অভিভাবকেরা বেশিরভাগ সময় শিশুর শরীর নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, কিন্তু তাদের মনের বিষয়গুলোকে একেবারেই গুরুত্ব দেন না। ফলে আজকাল শিশুদের নানা রকম মানসিক জটিলতা বেড়েই চলেছে। মানসিক জটিলতা যে শুধু শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠাই বাধাগ্রস্ত করে তা নয়, শিশুর মধ্যে বিষণ্নতা, হতাশা, আক্রমণাত্মক আচরণ, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা এমনকি অপরাধ প্রবণতারও জন্ম দেয়। তাই শিশুর মন খারাপের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এটিকে অবহেলা করা কোনোভাবেই উচিত নয়। শিশুর মন ভালো রাখার জন্য, বিষণ্নতা প্রতিকারের জন্য আমরা কিছু বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে পারি।

মাঝে মাঝে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া: শিশুর মন বৈচিত্র্য প্রত্যাশী। তারা সবসময় নতুনত্ব চাই, পরিবর্তন চায়। তাই মাঝে মাঝে শিশুদের বাইরে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাওয়া অভিভাবকের দায়িত্ব। এতে করে শিশুদের মধ্যে বাড়ি ও বিদ্যালয়ের একঘেঁয়েমি দূরীভূত হয়। পড়াশোনায় শিশুর মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া তাদের জ্ঞানের পরিধিও বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাই সুযোগ পেলেই শিশুকে বিভিন্ন আনন্দদায়ক, দর্শনীয়, গুরুত্বপূর্ণ বা ঐতিহাসিক স্থানে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া উচিত।

আগ্রহের দিকে লক্ষ রাখা: সব শিশু এক রকম নয়। প্রতিটি শিশুই স্বতন্ত্র। সব শিশুর আগ্রহও এক রকম নয়। একেক শিশুর একেক দিকে আগ্রহ বা প্রবণতা (Affinity) লক্ষ করা যায়। শিশুর আগ্রহের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে এবং তার আগ্রহের বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করতে হবে।

যতটুকু সম্ভব বেশি সময় দেয়া: জীবনযাপনের দায়ে আমাদের সকাল শুরু হয় ব্যস্ততা দিয়ে আর রাত আসে ক্লান্তি নিয়ে। তবু সবকিছুর ডামাডোলে নিজের সন্তানকে কখনো আড়াল করতে যাওয়া ঠিক নয়। দীর্ঘ সময় না হোক, অল্প সময় নিয়ে হলেও প্রতিদিন সন্তানের খোঁজখবর রাখতে হবে। অন্যথায় অভিভাবকের কষ্টার্জিত সব সফলতা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। অভিভাবক হিসেবে মাঝে-মধ্যে আন্তরিকতা নিয়ে সন্তানের পাশে বসা উচিত। শাসন, হাপিত্যেশ, চাওয়া-পাওয়া, অভাব-অভিযোগ নয়, বরং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সব বিষয়ে সন্তানের সাথে খোলামেলা আলোচনায় বসাও জরুরি। সন্তান কী চায়, কীভাবে চায়, কেন চায় তা জানার পাশাপাশি তার চাওয়ার ধরন সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে হবে। বিশদভাবে সন্তানের অন্তর্নিহিত প্রবণতা ও চাহিদাকে উপলব্ধিতে এনে সেগুলোর ভালো-মন্দ সম্পর্কে সন্তানের সাথে নিবিড় আন্তরিকতায় আলোচনা করতে হবে।

সরাসরি কথা বলা উচিত: কোনো কারণে শিশুর মন খারাপ হলে তার সঙ্গে সরাসরি এবং খোলামেলা কথা বলতে হবে। বাড়ির অন্যদের উপস্থিতিতে বলতে না চাইলে এমন কোনো জায়গায় শিশুকে নিয়ে যেতে হবে যেখানে সে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, যেখানে শিশুটি কিছুক্ষণ একা থাকতে পারে এবং সহজ ও সাবলীলতা অনুভব করতে পারে। পরবর্তী সময়ে নির্জন-নিরিবিলি পরিবেশে ধীরে ধীরে শিশুর সঙ্গে আন্তরিকতার সাথে কথা বলে তার মনোগত সমস্যা জানার চেষ্টা করতে হবে। বিষয়টিকে সাময়িক সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যাওয়া কোনোভাবেই উচিত হবে না। দীর্ঘ সময় শিশুর মন খারাপ থাকলে তা তার মনে স্থায়ী রূপ নিতে পারে।

বন্ধু মহলে খোঁজ-খবর নেয়া: অনেক সময় শিশুর মন খারাপের কারণ পিতা-মাতা বুঝে উঠতে পারেন না। এ-রকম ক্ষেত্রে শিশুর বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকের কাছেও খোঁজ-খবর নেওয়া যেতে পারে। বাড়ির বাইরে শিশু কোনোরূপ কষ্টকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে কি-না সেটি জানার চেষ্টা করতে হবে। এমনও হতে পারে তার বন্ধুরা বা শিক্ষক হয়তো এমন কোনো কারণের সন্ধান দিতে পারবে যার সম্বন্ধে অভিভাবকের একেবারেই ধারণা ছিল না। মন খারাপের কারণ জানা গেলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়াও সহজ হয়।

স্নেহ ও শাসনের সমন্বয় রাখা জরুরি: আমরা অনেক সময় না বুঝে বা অনেক সময় রাগের মাথায় শিশুকে বকাঝকা বা শাসন করে থাকি। এটা কোনোভাবেই উচিত নয়। অকারণে বকাঝকা কিংবা শাসন করলে শিশুর মন খারাপ হতে পারে। আবার আমরা ভাবি শিশুর মন খারাপ হলে তা এমনিতেই কিছুক্ষণ পর ঠিক হয়ে যাবে। এমনটি ভাবা মোটেই উচিত নয়। হয়তো কিছুক্ষণ পর শিশুকে স্বাভাবিক দেখাল। কিন্তু এই বকাঝকার প্রভাব শিশুর কোমল হৃদয়ে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলতে পারে। তাই শিশুকে শাসন করলেও পরবর্তী সময়ে আদর-সোহাগের মাধ্যমে সবকিছুর সমন্বয় সাধন করতে হবে। স্নেহ ও শাসনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে।

শিশুকে প্রাণবন্ত রাখার চেষ্টা করা: ক্রমাগত মন খারাপ থেকে শিশুর মনে দীর্ঘমেয়াদী হতাশা দেখা দিতে পারে। তাই শিশুর মন খারাপের জের এক সপ্তাহের বেশি জিঁইয়ে রাখা উচিত নয়। শিশুর মন খারাপ হলে তার কারণ জেনে সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। মন ভালো করতে শিশুকে হাস্যরসের মাধ্যমে প্রাণবন্ত রাখা, শিশুকে একান্তে সময় দেয়া, শিশুর সঙ্গে খেলাধুলা করা কিংবা তাকে সাথে নিয়ে বাইরের মনোরম পরিবেশে ঘুরে আসা নিতান্ত ফলপ্রসূ হতে পারে।

স্কুল থেকে ফিরলে লক্ষ রাখা: অনেক সময় দেখা যায়, স্কুলের বন্ধুর সঙ্গে মনোমালিন্য কিংবা শিক্ষকের বকাঝকার কারণে শিশুরা মন খারাপ করে বাসায় ফেরে। কিন্তু শিশু স্কুল থেকে বাসায় ফিরলে অভিভাবকেরা প্রায় সময়ই এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না। শিশু বাসায় ফিরলেই মায়েরা অতি উৎসাহ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সন্তানকে গোসল করিয়ে, খাইয়ে, হোমওয়ার্ক তৈরি করিয়ে, শিক্ষকের কাছে কিংবা কোচিংয়ে পড়তে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন। এতে শিশু তার মনের কষ্ট শেয়ার করার সুযোগ পায় না, যা ধীরে ধীরে দীর্ঘস্থায়ী বিষণ্নতায় রূপ নেয়। তাই শিশু স্কুল থেকে ফিরলে শিশুর মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। মন খারাপ থাকলে শিশুর সঙ্গে কথা বলে মন ভালো করার চেষ্টা থাকা অধিকতর যৌক্তিক।

বিনোদনের সুযোগ দেয়া: শুধু পড়াশোনা নিয়ে শিশুকে সব সময় ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করা উচিত নয়। শিশুরও বিনোদনের প্রয়োজন আছে। ছবি আঁকা, গল্পের বই পড়া, খেলাধুলা, গান-বাজনা করা, টিভি দেখার মতো বিনোদনের জন্যও শিশুকে কিছুটা সময় দেয়া উচিত।

প্রতিযোগিতা নয় সহযোগিতা: শিশুদের অর্থহীন প্রতিযোগিতার মাঝে ঠেলে দেয়া ঠিক নয়। তারা নিজেরা যদি কোনো কিছুতে অংশগ্রহণ করতে চায় তবে তাদেরকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া উচিত। শিশুরা যদি প্রতিযোগিতায় ভালো ফল করে তবে সে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়। আর যদি প্রতিযোগিতায় ভালো করতে না পারে তবে অনেক শিশু মন খারাপ করতে পারে। যদি শিশু প্রতিযোগিতায় ভালো করতে না পারে/পুরস্কার না-ও পায় সেক্ষেত্রে শিশুকে কিছুতেই তিরস্কার করা যাবে না। বরং তাকে আরো বেশি উৎসাহ দিয়ে তার মন-মানসিকতাকে আনন্দময় করে তুলতে হবে যাতে সে পরবর্তী সময়ে আরও ভালো করার জন্য উৎসাহিত হয়।

পারিবারিক টানাপড়েন সন্তানের আড়ালে রাখা: মা-বাবার দাম্পত্য কলহ, প্রিয়জনের মৃত্যু, আত্মসম্মানে আঘাত, শারীরিক বা মানসিক হেনস্থা শিশুদের মন খারাপের কারণ হতে পারে। বড়রা অনেক সময় অনুমানই করতে পারেন না এর প্রভাব কতটা গভীর। তাই স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক টানাপড়েন সন্তানের আড়ালেই রাখা উচিত। যথাসম্ভব পারিবারিক শান্তি বজায় রেখে শিশুকে যতটা সম্ভব অধিকতর সময় দেয়া সঙ্গত। অভিভাবকেরা যে তাকে ভালবাসেন সেটি আচরণের মাধ্যমে তাকে বোঝাতে হবে। তাহলে শিশু যেমন প্রাণবন্ত থাকবে, তেমনি তার মধ্যে থাকবে প্রবল আত্মবিশ^াস।

যৌন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি-না লক্ষ রাখা: বর্তমান সমাজে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। আধুনিক প্রযুক্তিসহ নানা বিষয়ই এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজেই পর্নোগ্রাফি, পরকিয়ার মতো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে মানুষ। এক্ষেত্রে ভারতীয় সিরিয়ালের প্রভাবও কম নয়। আর এর বলি হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। পথশিশুরা তো বটেই, এমনকি পরিবারের নিরাপদ গণ্ডির মধ্যে থেকেও শিশুরা যৌন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের বেশিরভাগই এ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষকদের দ্বারাও নির্যাতিত হচ্ছে ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশুরা। পরিবারের নিকটাত্মীয়, পাড়াতুতো কাকা-জ্যাঠা-ঠাকুরদা, বাবা-মার বন্ধু, কর্মচারী, শিক্ষক, প্রতিবেশী, চেনা কোনো লোকসহ এমন অনেক ব্যক্তি দ্বারা শিশু যৌন-নির্যাতনের শিকার হতে পারে; যাকে হয়তো শিশুটির বাবা-মা পরম বিশ^স্ত বলে মনে করেন।

শিশু যদি কোনো ব্যক্তির সঙ্গে অস্বাভাবিক অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা দেখায় বা কোনো ব্যক্তির কাছে যেতে না চায় বা তার বিষয়ে নালিশ করে তাহলে অভিভাবককে সতর্ক হতে হবে। সে ব্যক্তি যত আপনজনই হোক-না কেন ভেবে দেখতে হবে সে কোনো দিক থেকে শিশুকে যৌনভাবে ব্যবহার করছে কিনা। শিশুর শারীরিক অসুস্থতা, স্কুলে যেতে না চাওয়া, লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়া, স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাওয়া, ঘুমের মধ্যে কেঁদে ওঠা, দুঃস্বপ্ন দেখা, বিছানায় প্রস্রাব করা, বমি করা এবং আরও বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিলে অভিভাবককে জানার চেষ্টা করতে হবে যে শিশু কোনো না কোনোভাবে যৌন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি-না।

বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তন ও প্রজননস্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা: বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য শিশুর মন খারাপ থাকতে পারে। কোনো কোনো অভিভাবক মনে করেন, বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তন ও প্রজননস্বাস্থ্য নিয়ে কিশোর-কিশোরীর সঙ্গে আলোচনা করা ঠিক নয়। এটিকে তারা সামাজিক অনুশাসনের বিপরীত কাজ বলে মনে করেন। কিন্তু তাদের এই সীমাবদ্ধতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কিশোর-কিশোরীরা বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন পরিবর্তনের বিষয়ে সঠিক তথ্য পেলে তারা বিভিন্ন ভুল ধারণা দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ক্ষতির শিকার হবে না বা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। নিজেরা বুঝে চলতে পারবে। যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবে। তাই বাবা-মা ও অভিভাবকদের বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে এবং বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে তাদের সন্তানদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এ সময় তাদেরকে দূরে ঠেলে দেয়া যাবে না; চোখে চোখে রাখতে হবে। তাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে।

বিভিন্ন সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলীর সাথে জড়িত রাখা: লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলীর সাথে শিশুদের জড়িত রাখতে হবে। যেমন- ছবি আঁকা, গান গাওয়া, কবিতা আবৃত্তি, কারুকাজ, খেলাধুলা ইত্যাদি । এতে তাদের সৃজনশীলতা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি অবসর সময়টাও কেটে যাবে আনন্দের সাথে। শুধু পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকলে তাদের মধ্যে একঘেঁয়েমি তৈরি হতে পারে এবং এ কারণে সৃষ্টি হতে পারে ক্লান্তিকর অবসাদ ও সীমাহীন হতাশা।

প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া: দীর্ঘদিন শিশুর মন খারাপ বা বিষণ্নতা জিঁইয়ে না রেখে যথাসময়ে তাকে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। তা না হলে শিশুর বিষণ্নতা বা মন খারাপ অবস্থা থেকে তার মধ্যে দেখা দিতে পারে নানা রকম মানসিক সমস্যা।

শিশুর মনের দিকে সকলেরই খেয়াল রাখা উচিত। তাদেরকে সময় দিতে হবে। বোঝার চেষ্টা করতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে তাদের মধ্যে যেন একাকিত্ব ভর না করে। তাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে। অপরাধ করলেও তাদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়া যাবে না। ক্ষমার দৃষ্টিতে কাছে টেনে নিতে হবে। আজকের শিশু আগামী দিনের সুনাগরিক। তাই শিশুর সুষম বিকাশের জন্য শারীরিক ও মানসিক উভয় দিকের প্রতি যত্ন নেয়া খুবই প্রয়োজন।

লেখক:
শরীফুল্লাহ মুক্তি
প্রাবন্ধিক, শিক্ষা-গবেষক ও ইন্সট্রাক্টর,
উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (ইউআরসি),
বারহাট্টা, নেত্রকোনা।
ই-মেইল- [email protected]

Leave a Comment

error: Content is protected !!