শরিয়তপুর বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি শহর। প্রশাসনিকভাবে এটি শরিয়তপুর জেলার সদরদপ্তর ও প্রধান শহর। এর আয়তন ২৪.৯২ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ৪৯,৫৩৫ জন। এটি ক শ্রেণীর পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয় (ক,খ,গ তিন শ্রেণীর পৌরসভা বিদ্যমান)।
নামকরণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, মাদারীপুরের পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি নতুন মহকুমা গঠিত হবে। বিষয় নির্বাচনী কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক, বৃটিশ বিরোধী তথা ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহর নামানুসারে এর নাম করণ হয় শরীয়তপুর এবং এর সদর দপ্তরের জন্য পালং থানা অঞ্চলকে বেছে নেয়া হয়।
ইতিহাস
পলাশীর যুদ্ধে নবারের পরাজয়ের পর ১৭৬৫ সালে শরিয়তপুর ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সৃষ্ট প্রশাসনের আওতাধীন হয়। শরীয়তপুর সহ ফরিদপুরের দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে ঢাকা নিয়াবত গঠন করা হয়েছিল। ঢাকা নিয়াবত একজন নায়েব সুবাদার বা নাইব নাজিম ঢাকাকে কেন্দ্রস্থল হিসেবে গঠন করে শাসন পরিচালনা করেন। শরীয়তপুর পূর্বে বৃহত্তর বিক্রমপুর এর অংশ ছিল।
১৮৬৯ সালে প্রশাসনের সুবিধার্থে ইহাকে বাকেরগঞ্জ জেলার অংশ করা হয়। কিন্তু এ অঞ্চলের জনগণের আন্দোলনের মুখে ১৮৭৩ সালেই এ অঞ্চলকে মাদারীপুর মহকুমার অন্তর্গত করে ফরিদপুর জেলার অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সময় ১৯০৫ সালে বাংলাকে বিভক্ত করা হলে এ অঞ্চলের বিকাশ ত্বরানিত হয়। ১৯১০ হতে ১৯৩৫ সালের দিকে এ অঞ্চলের বহু বিপ্লবী সক্রিয়ভাবে আন্দোলন করেছিল। তার মধ্যে হাজী শরিয়াত উল্লাহ অন্যাতম।