ইসলামী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখা, গোপালগঞ্জ
বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত আপনার নিকটবর্তী ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখা ইসলামী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখা। গোপালগঞ্জ ইসলামী ব্যাংক শাখাটি আপনার পছন্দের জায়গা যা কিনা নজরুল সেন্টারে, হোল্ডিং নং ১৬, চৌরঙ্গী রোড, গোপালগঞ্জ ৮১০০ অবস্থিত। ইসলামী ব্যাংক শাখাটির শারীরিক ঠিকানা, অবস্থান, যোগাযোগের নম্বর, রাউটিং নম্বর, সুইফট কোড, পরিষেবা সময় এবং এই শাখাটি কখন এবং কোন দিন খোলা এবং বন্ধ থাকবে তা জানুন। শাখাটির বিস্তারিত তথ্য জানতে ডায়াল করুন +880668 61610, 017 11693941 নাম্বারে।
এছাড়াও নিন্মে শাখার নামগুলির নামে ক্লিক করলে আপনাকে সরাসরি উক্ত শাখার তথ্য দেখাবে। আমরা শাখার নাম এবং পরিশেষে ইসলামী ব্যাংক শাখার নামগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়েছি।
শাখাটির বিস্তারিত তথ্য
Islami Bank Bangladesh Limited | |
Gopalganj Branch | |
Nazrul Centre, Holding No. 16, Chowranghi Road, Gopalganj 8100 | |
0668 61610 | |
[email protected] | |
IBBLBDDH | |
125350372 | |
Gopalganj | |
Sunday: 10:00 am – 4:00 pm Monday: 10:00 am – 4:00 pm Tuesday: 10:00 am – 4:00 pm Wednesday: 10:00 am – 4:00 pm Thursday: 10:00 am – 4:00 pm Friday: Closed Saturday: Closed |
|
Sunday – Thursday (Except Holidays) |
বিঃদ্রঃ শাখা পরিষেবার সময়গুলি পৃথক হতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের যে কোন কিছু বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পরিবর্তন হতে পারে। উপরে প্রদর্শিত ব্যাংক এবং শাখা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইট বা প্রোফাইল থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই পৃষ্ঠায় কোনও ভুল বা অসম্পূর্ণ শাখার তথ্য পাওয়া গেলে ইনফো বিডি দায়ী নয়। যদি কোনও ভুল তথ্য পাওয়া যায় তবে দয়া করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে আমরা খুব কম সময়ে ডাটাবেস আপডেট করতে পারি।
গোপালগঞ্জে অবস্থিত অন্যান্য ইসলামী ব্যাংক শাখা সমূহ
Branch Name | Address | Telephone |
---|---|---|
Tungipara | Holding No. 227/3, Patgati Bazar Road, Tungipara, Gopalganj | Holding No. 227/3, Patgati Bazar Road, Tungipara, Gopalganj |
ইসলামী ব্যাংক এর বিস্তারিত ইতিহাস
সুদমুক্ত ব্যাংক প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের মানুষের বহু পুরনো প্রত্যাশা। বিশ শতকের ষাটের দশকে মিসরের মিটগামারে প্রথম সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ফলে বাংলাদেশেও এরূপ একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সক্রিয় হয়। ১৯৭৪ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক বা আইডিবির চার্টার স্বাক্ষর করে। ১৯৭৬ সালে প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তানায়ক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীমের নেতৃত্বে ঢাকায় ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা ব্যুরো প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৯ সালে নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মহসিন দুবাই ইসলামি ব্যাংকের অনুরূপ বাংলাদেশে একটি ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য পররাষ্ট্র সচিবের কাছে লেখা এক চিঠিতে সুপারিশ করেন। এর পরপরই ডিসেম্বর মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং উইং বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিমত জানতে চায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে তৎকালীন গবেষণা পরিচালক এ এস এম ফখরুল আহসান ১৯৮০ সালে ইসলামি ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার জন্য দুবাই ইসলামি ব্যাংক, মিসরের ফয়সাল ইসলামি ব্যাংক, নাসের সোশ্যাল ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক সমিতির কায়রো অফিস পরিদর্শন করেন। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে একটি প্রতিবেদন পেশ করেন।
১৯৮০ সালের ১৫-১৭ ডিসেম্বর ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা ব্যুরোর উদ্যোগে ঢাকায় ইসলামি ব্যাংকিংয়ের ওপর একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮১ সালের মার্চে ওআইসিভূক্ত দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সম্মেলন সুদানের রাজধানী খার্তুমে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে পেশকৃত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
১৯৮১ সালে এপ্রিল মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে লেখা এক পত্রে পাকিস্তানের অনুরূপ বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর শাখাগুলোতেও পরীক্ষামূলকভাবে পৃথক ইসলামি ব্যাংকিং কাউন্টার চালু করে এ জন্য পৃথক লেজার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৯৮১ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে সোনালী ব্যাংক স্টাফ কলেজে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের ওপর এক মাস স্থায়ী সার্বক্ষণিক আবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। এ কোর্সে বাংলাদেশ ব্যাংক, সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বিআইবিএম ও প্রস্তাবিত ঢাকা আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড)-এর ৩৭ কর্মকর্তা অংশ নেন।
১৯৮২ সালে নভেম্বর মাসে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে যৌথ উদ্যোগে একটি ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আইডিবির অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র প্রস্ত্তত করার ব্যাপারে ‘ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা ব্যুরো’ (আইইআরবি) এবং বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক সমিতি (বিবা) অগ্রণী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বহুমাত্রিক চেষ্টার ফলস্বরূপ ১৯৮৩ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড নামে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯৮৩ সালের ২৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড নামে বাংলাদেশের প্রথম ইসলামী ব্যাংকের প্রস্ত্ততিমূলক কাজ করা হয় এবং এ নামেই তখন পর্যন্ত ব্যাংকের সাইনবোর্ড ও প্রচার-পুস্তিকা ব্যবহার করা হয়। আলহাজ্ব মফিজুর রহমান ২৯ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। এরপর ৩০ মার্চ থেকে এ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। ব্যাংকের মনোগ্রাম তৈরি করেন শিল্পী ও ক্যালিগ্রাফার সবিহউল আলম। এক্ষেত্রে ১৯জন বাংলাদেশি ব্যক্তিত্ব, ৪টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এবং আইডিবিসহ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের ১১টি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সংস্থা এবং সৌদি আরবের দু’জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় উদ্যোক্তারূপে এগিয়ে আসেন।
ইসলামী ব্যাংকের অন্যান্য সেবাসমূহ
- চেক বইয়ের প্রতি পাতার জন্য ৩ টাকা ও ১৫% ভ্যাট দিতে হয় অর্থাৎ ১০ পাতার চেক বইয়ের জন্য ভ্যাটসহ ৬৯ টাকা দিতে হয়।
- সেভিংস একাউন্টে ৫,০০০ টাকা নিচে থাকলে কোন চার্জ দিতে হয় না। ৫,০০১ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত থাকলে অর্ধেক বছরের জন্য ৫০ টাকা এবং ১ বছরে ১০০ টাকা চার্জ দিতে হয়। ২০,০০২ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত থাকলে অর্ধেক বছরের জন্য ১০০ টাকা এবং ২০০ টাকা দিতে হয়। অর্ধেক বছরে ২০০ টাকা ১ বছরে ৪০০ টাকা চার্জ দিতে হয়। সেভিংস এর মোট টাকার উপর ব্যাৎসারিক ৫.৩৫% মুনাফা পাওয়া যায়।
- কারেন্ট একাউন্টে শুন্য থেকে ২০,০০০ টাকার জন্য অর্ধেক বছরে ১০০ টাকা ১ বছরে ২০০ টাকা। ২০,০০১ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকা থাকলে অর্ধেক বছরের জন্য ২০০ টাকা ১ বছরের জন্য ৪০০ টাকা। ১,০০,০০০ টাকার উপরে আনলিমিটেড পর্যন্ত অর্ধেক বছরে ৫০০ টাকা, ১ বছরে ১,০০০ টাকা চার্জ দিতে পর কারেন্ট একাউন্টে কোন লাভ/মুনাফা প্রদান করা হয় না।
- এটিএম কার্ডের চার্জ বছরে ৩৪৫ টাকা ভ্যাটসহ প্রথম বছর থেকেই এই চার্জ কার্যকর হয়।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট বছরে দুইবার ফ্রি দেওয়া হয়। দুইয়ের অধিকবার নিতে হলে ২০০ টাকা দিতে হবে। সাথে ১৫% ভ্যাট অর্থাৎ মোট ২৩০ টাকা দিতে হবে। ইহা সাথে সাথেই পাওয়া যায়।
- APS নাই। DPS প্রতি মাসে ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত DPS করা যায়। DPS এর মাসিক কিস্তির পরিমান ১০০ গুনিতক হতে হবে অর্থাৎ ২০০, ৩০০ ও ৫০০ টাকা ইত্যাদি। ইহা ৩ থেকে ১০ বচর মেয়াদী করা যায়। মুনাফার পরিমান ৭.৭৫ থেকে ৮.৬০% পর্যন্ত পাওয়া যায়।
- DD/TT এক দিনেই ক্যাশ করা যায়। আর চেক সাথে সাথেই ক্যাম করা যায়। DD/TT ক্যাশ করতে কমপক্ষে ২০ টাকা চার্জ দিতে হয়।
- কোন কারণে বুথে কার্ড আটকে গেলে, ২/৩ কর্মি দিবস পর বুথেরর নিকটতম শাখা/ যে শাখায় একাউন্ট খোলা হয়েছে সেখানে যোগাযোগ করলে কার্ড পাওয়া যাবে এর জন্য কোন চার্জ কাটবে না। ব্যালেন্স কাটার পর টাকা বের না হলে বুথের নম্বর, সময়, ঠিকানানহ বুথের নিকটতম শাখা/ যে শাখায় একাউন্ট খোলা হয়েছে সেখানে অভিযোগ ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনেক সময় সাথে সাথে ব্যালেন্স এডজাস্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কিছু করতে হয় না। অভিযোগ করার ৪/ দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যায়।
- IBBL এর বুথ থেকে স্লিপ নিলে কোন টাকা কাটে না। আর অন্য ব্যাংকে বুথ থেকে নিলে সেই ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী টাকা কাটে।
ইসলামী ব্যাংকে DPS করার নিয়ম
- IBBL এ একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে।
- যার নামে DPS তার ২ কপি PP ছবি, নমিনির ১ কপি PP সাইজের ছবি।
- দুই জনের ভোটার ID এর ফটোকপি।
- ব্যাংক থেকে DPS ফরম নিয়ে ইহা ফিলাপ করতে হবে।
- বয়স ১৮ বছর (কমপক্ষে) হতে হবে।
- যে কেই DPS করতে পারবে।
এভাবে DPS করতে হয়।
[…] Gopalganj […]