তারকারা কে কার আত্মীয়?

তারকারা কে কার আত্মীয়? দেশে দেশেই তারকাদের মধ্যে পারিবারিক ও আত্মীয়তার সম্পর্ক দেখা যায়। কেউ বাবা-মায়ের পথ ধরে শোবিজে আসেন। কেউ আবার ভাই-বোনদের দেখে। একইভাবে বাংলাদেশেও অনেক তারকার আগমন ঘটে সম্পর্কের হাত ধরে। অনেকে আলাদাভাবে শোবিজে এলেও পরে জড়িয়েছেন অন্য কোনো তারকার সঙ্গে আত্মীয়তায়।

জেনে নেয়া যাক সেই সব তারকা ও তাদের সম্পর্কের খোঁজ খবর

শোবিজমুখী পরিবার হিসেবে বলিউডে খুবই বিখ্যাত অনিল কাপুরের পরিবার, সালমান খানের পরিবার, কারিশমা কাপুরের পরিবার, জাভেদ আখতারের পরিবার এবং অমিতাভ বচ্চনের পরিবার। এই পরিবারগুলোতে দেখা যায় অনেক সদস্যই শোবিজের নানা অঙ্গনের তারকা।

সেদিক থেকে বাংলাদেশেও কিছু পরিবার রয়েছে যেখানে বংশানুক্রমে ওই পরিবারের সদস্যরা শোবিজে এসেছেন এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। প্রথমেই উল্লেখ করা যায় প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের নাম। তার সূত্র ধরে আত্মীয়তার বন্ধনে বাধা তারকাদের বিশাল এক তালিকা পাওয়া যায়।

জহিরের প্রথম স্ত্রী ছিলেন অভিনেত্রী সুমিতা দেবীকে। সুমিতা-জহিরের পুত্র বিপুল এবং অনল রায়হানও নাট্য নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। জহির রায়হানের বড় ভাই শহীদুল্লাহ কায়সার খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক এবং বাংলাদেশের একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে শ্রদ্ধেয়।

তাদের চাচাতো ভাই শাহরিয়ার কবির এবং আরেক ভাই নির্মাতা জাকারিয়া হাবিব। শহীদুল্লাহ কায়সারের কন্যা আবার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার। শমীর ভাই স্বাধীন কায়সার একজন সংগীত শিল্পী। তাদের মা পান্না কায়সার একজন রাজনীতিবিদ।

শমী কায়সারের মা পান্না কায়সারের বোনের স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তার পিতা কফিল উদ্দিন চৌধুরী মুসলিম লীগের একজন জনপ্রিয় নেতা এবং খ্যাতিমান উকিল ছিলেন। বদরুদ্দোজার পুত্র মাহি বি চৌধুরীও একজন রাজনীতিবিদ ও বর্তমান সাংসদ।

মাহি বি চৌধুরী বিয়ে করেছেন মডেল এবং উপস্থাপিকা লোপাকে। লোপার ফুফাতো বোন সংগীত শিল্পী সুমনা হক।

এদিকে জহির রায়হানের দ্বিতীয় স্ত্রী চিত্রনায়িকা সুচন্দা। তার দুই বোনের একজন কিংবদন্তী অভিনেত্রী ববিতা এবং কনিষ্ঠতম বোন জনপ্রিয় অভিনেত্রী চম্পা। এই তিন বোনের চাচাতো ভাই চিত্রনায়ক রিয়াজ। যার চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে ববিতার শুটিং দেখতে আসার সূত্রে নায়ক জসীমের আগ্রহে।

রিয়াজও বিয়ে করেছেন তারকা। তার স্ত্রী মডেল মুশফিকা তিনা। মজার ব্যাপার হলো রিয়াজ, ববিতা-সুচন্দার সঙ্গে আবার নায়ক ওমর সানীর আত্মীয়তা। উইকিপিডয়া বলছে সম্পর্কে ওমর সানীর চাচা হন রিয়াজ। আর ববিতারা তিন বোন ফুফু।

ওমর সানীর স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এই নায়িকার ছোট বোন ইরিন জামানও অভিনয় এবং উপস্থাপনার সঙ্গে জড়িত। এই পর্যন্ত আসা গেল জহির রায়হানের সূত্র ধরে। এবার অন্যদিকে চোখ ফেরানো যাক।

জহির রায়হানের পর উল্লেখ করা যায় প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার এবং অভিনেতা খান আতাউর রহমানের নাম। তারকাদের আত্মীয়তার সূত্র খুঁজতে গেলে তিনি বেশ বড় তালিকার মূলে রয়েছে। খান আতাউর স্ত্রী নীলুফার ইয়াসমিন। তাদের পুত্র সংগীতশিল্পী আগুন এবং কন্যা আরেক সংগীতশিল্পী রুমানা ইসলাম।

খান আতার তিন শালী অর্থাৎ নিলুফার ইয়াসমিনের তিন বোন সাবিনা ইয়াসমিন, ফরিদা ইয়াসমিন এবং ফৌজিয়া খান- সকলেই খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী। সাবিনা ইয়াসমিনের প্রাক্তন স্বামী ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কবির সুমন। সাবিনার কন্যা ফাইরুজ ইয়াসমিনও গায়িকা।

‘মহানায়ক’ খ্যাত অভিনেতা বুলবুল আহমেদ। ‘দেবদাস’সহ অসংখ্য কালজয়ী সিনেমা দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। তার স্ত্রী ডেইজি আহমেদ জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং সংগীতশিল্পী। তাদের কন্যা ঐন্দ্রিলা আহমেদও টেলিভিশনে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন।

এদিকে ডেইজি আহমেদের বড় বোন অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান। তার স্বামী কিংবদন্তী অভিনেতা, নির্মাতা, চলচ্চিত্র সংগঠক ও আবৃত্তিকার সৈয়দ হাসান ইমাম। তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটির একজন পুরোধা ব্যক্তিত্বও।

একুশে পদক পাওয়া অভিনেতা এবং বিশিষ্ট আবৃত্তিকার গোলাম মুস্তফা নায়ক হয়েই শোবিজে নাম লেখান ষাট দশকে। তারপর খলচরিত্রে তিনি অনবদ্য একজন অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার পথ ধরেই অভিনয়ে আসেন সুযোগ্য কন্যা সুবর্ণা মুস্তফা। আশির দশক থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের নাট্যজগতে তিনি একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

সুবর্ণার সঙ্গে জড়িয়ে আবার আরেক তারকার নাম। তিনি চলচ্চিত্র, নাট্য ও মঞ্চ জগতের আরেক শক্তিমান অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি। ১৯৮৪ সালে ভালোবেসে তারা বিয়ে করেন। ২২ বছর সংসার করার পর ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ঘটে তাদের, বিচ্ছেদের পর সুবর্ণা বিয়ে করেন বদরুল আলম সৌদকে। তিনি একজন স্বনামধন্য নির্মাতা।

টেলিভিশন এবং মঞ্চ নাটকের আরেক জনপ্রিয় মুখ আবুল হায়াত। তার পুরো পরিবারই তারকা খচিত। দুই কন্যা বিপাশা এবং নাতাশা হায়াত টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী। বড় কন্যা বিপাশার স্বামী তৌকির আহমেদ নন্দিত অভিনেতা ও নির্মাতা। ছোট মেয়ে নাতাশার স্বামী শাহেদ শরিফ খানও নির্মাণ এবং অভিনয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

এদিকে আবুল হায়াতের ছোট বোন অভিনেত্রী নুজহাত ইসলাম ফিমা। তার স্বামী গাউসুল আজম বিজ্ঞাপন সংস্থা ‘গ্রে’-র কর্ণধার। তৌকির আহমেদের বোনের স্বামী আতাহার আলি খান বাংলাদেশের খ্যাতিমান ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার।

বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক রাজখ্যাত অভিনেতা রাজ্জাকের দুই ছেলে চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ এবং সম্রাট। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারাও চলচ্চিত্রে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়েছেন। বাপ্পারাজ অনেক সফল ছবির নায়ক। তিনি পরিচালনাতেও সুনাম অর্জন করেছেন।

প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এর অন্যতম প্রযোজক ছিলেন কলিম উদ্দিন আহমেদ ওরফে দুদু মিয়া। তার পুত্র বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা আলমগীর। ১৯৭৩ সালে আলমগীর বিয়ে করেন গীতিকার খোশনুর আলমগীরকে। তাদের একমাত্র কন্যা আঁখি আলমগীর একজন জনপ্রিয় গায়িকা। খোশনুরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন আলমীগর।

মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার বিয়ে করেন আরেক খ্যাতিমান মঞ্চ এবং টেলিভিশন অভিনেত্রী ফেরদৌসি মজুমদারকে। তাদের একমাত্র কন্যা ত্রপা মজুমদারও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। ত্রপার স্বামী আপন আহসান একজন বিজ্ঞাপন নির্মাতা।

অন্যদিকে ফেরদৌসি মজুমদারের বড় ভাই বুদ্ধিজীবী, নাট্যকার এবং শিক্ষাবিদ মুনীর চৌধুরী। আরেক ভাই জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরী। মুনীর চৌধুরীর পুত্র প্রয়াত মিশুক মুনীর ছিলেন চিত্রগ্রাহক এবং খ্যাতিমান সাংবাদিক। তার আর দুই পুত্র আসিফ মুনীর থিয়েটার ও মানবাধিকার কর্মী এবং আহমেদ মুনরী একজন জনপ্রিয় লেখক।

কিংবদন্তী সঙ্গীতজ্ঞ মাহমুদুন্নবীর দুই কন্যা জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী এবং সামিনা চৌধুরী। তাদের ছোট ভাই পঞ্চমও সংগীত জগতের মানুষ। সামিনার প্রথম স্বামী নকীব খান জনপ্রিয় ব্যান্ড রেনেসাঁ’র ভোকালিস্ট। নকীব খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে সামিনা বিয়ে করেন নির্মাতা ইজাজ খান স্বপনকে।

পরিচালক আমজাদ হোসেনের ছেলে নাট্য নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল এবং নাট্যনির্মাতা সোহেল আরমান। দোদুলের স্ত্রী অভিনেত্রী ও নির্মাতা লাজুক। সোহেল আরমানের প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী তারিন।

টেলিভিশন নাটকের পুরোধা ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আহসান আলী সিডনি। শক্তিশালী এই অভিনেতা দাপটের সঙ্গে অভিনয় কর গেছেন টেলিভিশন জগতে। তার পুত্র জিতু আহসানও নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমেই। বাবার মতো পুত্র জিতুর অভিনয়ও প্রশংসার দাবিদার।

চলচ্চিত্র পরিচালক দিলীপ বিশ্বাসের পুত্র জনপ্রিয় উপস্থাপক এবং পরিচালক দেবাশিষ বিশ্বাস। দেবাশীষের খালু সংগীত শিল্পী সত্য সাহা। খালাতো ভাই সংগীত পরিচালক ইমন সাহা।

চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার ছোট ভাই আরেক অভিনেতা রুবেল। সোহেল রানার পুত্র মাশরুর রেজাও একজন অভিনেতা। সোহেল-রুবেলের ভাগ্নি তানিয়া আহমেদ। তানিয়ার স্বামী সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল। অভিনেত্রী নাফিজার স্বামী দ্বীপ আবার টুটুলের ভাগ্নে।

সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরীর ভাই চিত্রশিল্পী স্বপন চৌধুরী। স্বপন চৌধুরীর পুত্র জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অর্ণব এবং কন্যা অদিতি সেনগুপ্ত। অর্ণবের সাবেক স্ত্রী আরেক খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী শাহানা বাজপেয়ী। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।

সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম বিয়ে করেন আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আবিদা সুলতানাকে। আবিদার বোন রেবেকা সুলতানা এবং সালমা আলীও সংগীত অঙ্গনের মানুষ। সালমা আলীর প্রাক্তন স্বামী সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। রেবেকার কন্যা পুষ্পিতা আবিদাও সংগীতশিল্পী।

আবিদা সুলতানার ভাই সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন। শওকত আলী ইমনের প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ। বিজরী বরকতুল্লাহর বাবা মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ একজন স্বনামধন্য প্রযোজক ও নির্মাতা। বিজরীর মা নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতুল্লাহ। ইমনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিজরী বিয়ে করেছেন অভিনেতা ইন্তেখাব দিনারকে।

আলাউদ্দীন আলীর মেয়ে আলিফ আলাউদ্দিন একজন সংগীত শিল্পী। আলাউদ্দিন আলীর ভাইয়ের ছেলে সংগীত পরিচালক আলী আকরাম শুভ এবং বোনের ছেলে সুরকার আলী আকবর রুপু। আলাউদ্দীন আলী বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী শম্পা রেজাকেও।

নজরুলের গানে উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী ফিরোজা বেগম বিয়ে করেছিলেন প্রখ্যাত গীতিকার কমল দাশগুপ্তকে। তাদের দুই পুত্র জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী হামিন আহমেদ এবং শাফিন আহমেদ। হামিন আহমেদের স্ত্রী জনপ্রিয় গায়িকা কানিজ সুবর্ণা।

সংগীতিশিল্পী এবং অভিনেতা তাহসান রহমান খানের সাবেক স্ত্রী অভিনেত্রী মিথিলা। তার ছোট ভাই অভিনেতা মিশু। তাদের আরেক বোন মিম রশিদ বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা অমিতাভ রেজাকে। অমিতাভের প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী জেনী।

খ্যাতিমান রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী সাদি মোহাম্মদ এবং খ্যাতিমান নৃত্য শিল্পী শিবলী মোহাম্মদ দুইজন সহোদর।

বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ বারীণ মজুমদারের পুত্র পার্থ এবং বাপ্পা মজুমদার। তারা দুইজনই সংগীত জগতের মানুষ। বাপ্পা মজুমদারের প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী চাঁদনী। তাদের বিচ্ছেদের পর বাপ্পা বিয়ে করেন অভিনেত্রী তানিয়া হোসেনকে। তানিয়ার প্রথম স্বামী ছিলেন নির্মাতা ও উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস।

চিত্রনায়ক জাফর ইকবালের বোন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ এবং ভাই সংগীত পরিচালক আনোয়ার পারভেজ।

অভিনেতা ইনামুল হকের স্ত্রী অভিনেত্রী লাকী ইনাম। তাদের কন্যা অভিনেত্রী হৃদি হক। হৃদির স্বামী অভিনেতা লিটু আনাম। হৃদির বোনের স্বামী অভিনেতা সাজু খাদেম।

অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদের বোন আরেক অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি। তার স্বামী অভিনেতা রহমত আলী। তাদের কন্যা অভিনেত্রী তনিমা আহমেদও একজন ভালো অভিনেত্রী।

এছাড়াও গায়ক ফেরদৌস ওয়াহিদের স্ত্রী পরিচালক কেএমআর মঞ্জু। তাদের ছেলে গায়ক হাবিব ওয়াহিদ। হাবিবের চাচাতো বোন সংগীতশিল্পী শায়ান।

গায়ক খালিদ হাসান মিলুর ছেলে গায়ক প্রতীক হাসান ও প্রীতম হাসান। পরিচালক শিবলী সাদিকের ছেলের শ্বশুর অভিনেতা আনোয়ার হোসেন।

নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর স্বামী নির্মাতা অরুণ চৌধুরী এবং বোন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমালিকা কর্মকার। নির্মাতা মুরাদ পারভেজ বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে। তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। ডিভোর্স হয়ে গেছে নির্মাতা ও উপস্থাপক আনজাম মাসুদ এবং অভিনেত্রী রোমানারও।

তবে সুখে সংসার করছেন অভিনেত্রী দীপা খন্দকার ও অভিনেতা শাহেদ আলী সুজন। আমেরিকায় ভালো আছেন টনি ডায়েস ও প্রিয়া ডায়েস দম্পতি।

মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা বিয়ে করেছিলেন সংগীতশিল্পী হৃদয় খানকে। তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। সংগীতশিল্পী বালামের বোন জুলি।

অভিনেতা আলী যাকেরের স্ত্রী অভিনেত্রী সারা যাকের। তাদের পুত্র ইরেশ যাকের জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক। কন্যা শ্রিয়া সর্বজয়াও একজন অভিনেত্রী। অন্যদিকে অভিনেতা ও নির্মাতা নাসিরউদ্দিন ইউসূফ বাচ্চুর স্ত্রী শিমুল ইউসূফ। তাদের কন্যা এষা একজন থিয়েটারকর্মী।

পরিচালক কাজী হায়াতের ছেলে অভিনেতা কাজী মারুফ ও অভিনেত্রী আনোয়ারা জামানের মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি। অভিনেতা সুব্রত বড়ুয়ার স্ত্রী অভিনেত্রী দোয়েল। তাদের মেয়ে অভিনেত্রী দিঘী।

নায়ক সোহেল চৌধুরীর স্ত্রী ছিলেন নায়িকা দিতি। সোহেলের মৃত্যুর পর দিতি বিয়ে করেন নন্দিত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে। চিত্রনায়ক শাকিব খান বিয়ে করেছেন ঢালিউড কুইনখ্যাত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসকে। চলচ্চিত্রের আরেক সুপারস্টার অনন্ত জলিলের দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী বর্ষা।

গায়িকা শাকিলা জাফরের ননদ অভিনেত্রী সানজিদা প্রীতি। সানজিদা প্রীতির স্বামীর কাজিন অভিনেতা নাঈম। নাঈমের স্ত্রী অভিনেত্রী শাবনাজ।

লোক সংগীত শিল্পী মনোয়ারা বেগমের মেয়ে গায়িকা ডলি সায়ন্তনী, গায়িকা পলি সায়ন্তনী এবং ছেলে গায়ক বাদশাহ বুলবুল। ডলি সায়ন্তনীর প্রাক্তন স্বামী গায়ক রবি চৌধুরী এবং গীতিকার আহমেদ রিজভী। গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মেয়ে গায়িকা দিঠি ও ভাগ্নে অভিনেতা-নির্মাতা শাহরিয়ার নাজিম জয়।

গায়িকা আলম আরা মিনুর স্বামী সুরকার সেলিম আশরাফ। সেলিম আশরাফের ভাই পরিচালক আজাদ খান। অভিনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়ে অভিনেত্রী দিবা নার্গিস।

গায়ক আজম খানের ভাই সংগীত পরিচালক আলম খান। আলম খানের ছেলে সংগীত পরিচালক আরমান খান এবং রিদমিস্ট আদনান খান।

পরিচালক আজিজুর রহমান বুলির প্রাক্তন স্ত্রী অভিনেত্রী অঞ্জনা। তার ভাই অভিনেতা মাহমুদ কলি।

প্রযোজক ম হামিদের স্ত্রী অভিনেত্রী ফাল্গুনি হামিদ। তাদের মেয়ে অভিনেত্রী তনিমা হামিদ। তনিমা হামিদের স্বামী সংবাদ পাঠক শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম।

জাদুকর জুয়েল আইচের ভাই গীতিকার মানিক আইচ। উনার স্ত্রীর ভাইয়ের স্ত্রী বিউটিশিয়ান কানিজ আলমাস খান।

যাত্রাশিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাসের স্ত্রী যাত্রা শিল্পী জ্যোৎস্না বিশ্বাস। তাদের মেয়ে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।অরুণা বিশ্বাসের ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রী অভিনেত্রী মৌসুমী নাগ। মৌসুমী নাগের বর্তমান স্বামী অভিনেতা সোয়েব।

অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিমের স্ত্রী রোজি সেলিম। চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী রোজি আফসারী বিয়ে করেছিলেন চিত্রপরিচালক মালেক আফসারীকে। আরেক অভিনেতা আজিজুল হাকিমের স্ত্রী জিনাত হাকিম একজন চিত্রনাট্যকার।

মডেল ফয়সাল বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসানকে। তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আরেক মডেল ও অভিনেতা শিমুল খান ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নাদিয়া আহমেদের সঙ্গে। সেই দাম্পত্যে বিচ্ছেদের পর নাদিয়া বিয়ে করেন অভিনেতা নাঈমকে।

পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের বড় কন্যা অভিনেত্রী ভাবনা। অভিনেতা জাহিদ হাসান বিয়ে করেছন নন্দিত মডেল ও অভিনেত্রী মৌকে। প্রখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদের কন্যা শিলা আহমেদ একজন অভিনেত্রী ও পুত্র নুহাশ হুমায়ূন নতুন প্রজন্মের নির্মাতা হিসেবে বেশ আলোচিত। হুমায়ূনের দ্বিতীয় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন একজন অভিনেত্রী, নির্মাতা, গায়িকা ও নৃত্যশিল্পী।

অভিনেতা আমিন খানের ভাই আরাভ খান একজন অভিনেতা। চলচ্চিত্র অভিনেতা ড্যানি সিডাকের ছেলে অভিনেতা সাজিদ ইফতেখার। ড্যানির ভাই অভিনেতা ও প্রযোজক ফিরোজ সাঁই। অন্যদিকে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের ছোট ভাই তৌফিকও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

Leave a Comment

error: Content is protected !!