পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৫ দিনে গ্রেপ্তার ২৪ হাজার। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রায় ২৪ হাজার ব্যক্তি। দেশব্যাপী ৩৩ হাজার ৪২৯টি অভিযান চালিয়ে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন ৫ হাজার মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৭২ জন সন্ত্রাসী ও জঙ্গি রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ বিশেষ অভিযান শেষ হয় বলে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এদিকে বিএনপির দাবি, নয়াপল্টনের ঘটনায় সারা দেশ থেকে দলটির ১ হাজার ৩০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের এই অভিযানে বিদেশি পিস্তল, অন্যান্য অস্ত্র, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. মনজুর রহমান গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিজয় দিবস, বড়দিন ও থার্টিফাস্ট নাইট উদ্যাপন নিরাপদ করতেই সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ২৩ হাজার ৯৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে পরোয়ানাভুক্ত আসামি ১৫ হাজার ৯৬৮ জন। বাকি ৮ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বিভিন্ন অভিযোগে। এই ৮ হাজার জনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় নতুন মামলা হয়েছে ৫ হাজার ১৩২টি।
পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে আটটি শুটারগান, তিনটি পিস্তল, পাঁচটি এলএমজি, আটটি বন্দুক, একটি পাইপগান ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এআইজি জানান, ১৫ দিনের অভিযানে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯২টি ইয়াবা, ৭ হাজার ৫৮১ কেজি গাঁজা, ৫ হাজার ৪১৫ বোতল ফেনসিডিল, ৮ হাজার ৬৯৮ গ্রাম হেরোইন ও ১১৭ গ্রাম ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ (আইস) উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক আদেশে বলা হয়, গত ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত এলাকায় পুলিশ হেফাজত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া বিজয় দিবস, বড়দিন এবং থার্টিফাস্ট নাইট নিরাপদ করার লক্ষ্যে ১-১৫ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালানোর আদেশ দেওয়া হয়।
মনজুর রহমান বলেন, ‘এটি কোনো রাজনৈতিক অভিযান নয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দু-তিন মাস পরপর এমন অভিযান হয়ে থাকে। এসব অভিযানে বিভিন্ন মামলার আসামিসহ মাদক, ছিনতাই, জঙ্গি, সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়।’