বিধবা ভাতার তালিকায় পুরুষের নাম

বিধবা ভাতার তালিকায় পুরুষের নাম: বিধবা ভাতার বইয়ে কোড নম্বরসহ এক পুরুষের নাম উঠেছে। ভাতার কোড নম্বর- ০২-৭২০০১৩৫৫২। ওই পুরুষের নাম মোহাম্মদ আলী। তার পিতার নাম মৃত মনির উদ্দিন, মাতার নাম সুরুজের মা। তার বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের বিপ্রবর্গ গ্রামে।

বিধবা ভাতার তালিকায় পুরুষের নাম ওঠায় এ নিয়ে সকল মহলে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। লিখা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

জানা যায়, মোহাম্মদ আলীর বয়স কম থাকলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে বয়স্ক ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। জালিয়াতি করে বয়স বাড়িয়ে ইউনিয়ন পরিষদের প্রস্তুত করা তালিকায় উপজেলা সমাজসেবা বিভাগের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক কেন্দুয়া শাখা থেকে ভাতার টাকা উত্তোলন করতেন তিনি।

উপজেলা সমাজসেবা বিভাগের কারিগরি প্রশিক্ষক ও কান্দিউড়া ইউনিয়নের ভাতার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, মোহাম্মদ আলীর নাম বিধবা ভাতার বইয়ে কোড সহ লিপিবদ্ধ হয়। তিনি একজন বয়স্ক ভাতাভোগী ছিলেন। এমআইএস কার্যক্রমের সময় তার ভোটার আইডি কার্ডে বয়স কম থাকায় বয়স্ক ভাতার কার্ড বাতিল হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মোহাম্মদ আলীর বয়স কম থাকার পরও নকল ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে বয়স বাড়িয়ে বয়স্ক ভাতার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আব্দুল মান্নান জানান, এমআইএস কার্যক্রম চালু হওয়ায় আমরা সব জালিয়াতি ধরতে পারছি। এমআইএস কার্যক্রম নিয়ে আমরা গর্বিত। বয়স্ক ভাতা থেকে বাদ পড়ার পর মোহাম্মদ আলীর নামটি বিধবা ভাতার কোডে এবং প্রতিবন্ধী ভাতার কোডে উঠানো হয়েছিল বলে জানান তিনি। কিন্তু এমআইএস কার্যক্রম চালু থাকায় কম্পিউটার নকল বিষয়টি সমর্থন না করায় তা ধরা পরে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের নেত্রকোনা উপ-পরিচালক মো. আলাউদ্দিন এ বিষয়টি অবগত হয়ে যাচাই বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ইচ্ছাকৃত বা ভুল করে বিধবা ভাতার কোডে নাম ওঠালেও এমআইএস কার্যক্রমে মোহাম্মদ আলীর বিষয়টি ধরা পরে। তিনি এখন থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় আর কোন ভাতাভোগী নন।

কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ কায়সার বলেন, এ কাজটিতো আর আমি সম্পাদন করিনা।

Leave a Comment

error: Content is protected !!