কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা

কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা। চাটমোহরে শীতের অন্যতম উপাদেয় খাবার কুমড়ো বড়ি তৈরির ধুম পড়েছে। কুমড়ো বড়ি তৈরি ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার নারীরা। আর শুকানো বড়ি বাজারে বিক্রি করছেন পুরুষরা। এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক পরিবার কুমড়ো বড়ি তৈরি ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

চাটমোহর পৌরসদরের দোলং মহল্লায় কুমড়ো বড়ি তৈরি হয় বেশি। খেসারি, অ্যাংকর, ছোলা ও মাসকালাইয়ের ডাল কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে মিলে ভাঙানোর পর তার সঙ্গে পাকা চালকুমড়ো ভালো করে ফেনিয়ে মিশিয়ে তৈরি করা হয় শীতকালের উপাদেয় খাবার কুমড়ো বড়ি।

দোলং মহল্লার বাসিন্দা ফিরোজুর রহমান ফটিক জানান, বছরের প্রায় ছয় মাস আমরা কুমড়ো বড়ি তৈরি ও বিক্রি করি। বড়ি তৈরির পর ভালো রোদ হলে দুই দিনেই শুকিয়ে যায়। বাড়ির নারীরা মূলত বড়ি তৈরি করেন। শুকোনোর পর বাড়ির পুরুষ সদস্য স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করেন।

কুমড়ো বড়ির কারিগর দোলং মহল্লার মৃত বিরু ভৌমিকের স্ত্রী উষা রাণী ভৌমিক জানান, সংসারে অনেক খরচ। তাই বসে না থেকে কুমড়ো বড়ি তৈরি করি। ছেলে হাটবাজারে বিক্রি করে। এতে বাড়তি কিছু উপার্জন হয়। এ বাড়তি আয়টুকু সংসার পরিচালনায় সহায়ক ভূমিকা রাখে। তবে একনাগাড়ে বৃষ্টি হলে বড়ি পচে যায়। তখন আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।

ফিরোজুর রহমান ফটিকের স্ত্রী ঝর্ণা বেগম জানান, স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ কুমড়ো বড়ি কিনে নিয়ে যান। এমনকি প্রবাসীরাও দেশে এলে আবার বিদেশে যাওয়ার সময় কিনে নিয়ে যান কুমড়ো বড়ি। চাটমোহরের কুমড়ো বড়ি এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশেও।

Leave a Comment

error: Content is protected !!