ওমিক্রন নিয়ে যা জানা খুবই জরুরি

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। ইউরোপের অনেক দেশেই বেড়ে গেছে হাসপাতালে ভর্তির হার। আমাদের দেশে নতুন এ ধরন ব্যাপকভাবে না ছড়ালেও ধীর গতিতে ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে মানুষের সচেতনতা জরুরি। সেই সঙ্গে ওমিক্রনের লক্ষণগুলোও জানা জরুরি।

লক্ষণ

বলা হচ্ছে, ওমিক্রন আক্রান্ত হলে সাধারণ ঠাণ্ডার মতো মনে হতে পারে। গলা শুকিয়ে যাওয়া, সর্দি লাগা, হাড়ের জোড়ায় ব্যথা বা মাথা ব্যথাও হতে পারে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রন সংক্রমণের লক্ষণগুলো খুবই হালকা। অনেকের ফুসফুসের ওপরের দিকে ব্যথা হতে পারে। আর মোটা দাগে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো- বুকের ওপরের অংশে ব্যথা, মাথা ব্যথা, জ্বর, ক্লান্ত লাগা, শরীরে ব্যথা ও গলা শুকিয়ে যাওয়া। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেই সতর্ক হতে হবে।

তবে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে, ওমিক্রন একটু হালকা ধরনের, আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার কম।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারি বিশেষজ্ঞ ড. আব্দি মাহামুদ বলেছেন, ওমিক্রন যে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে কম ক্ষতিকর, তা বলার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। সুতরাং মূল বার্তা হলো, আপনি যদি টিকা নিয়ে থাকেন, তাহলেই আপনি নিরাপদ। সূত্র: বিবিসি বাংলা

ওমিক্রন সংক্রমণের ‘অদ্ভুত’ ২ লক্ষণ

করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পুরোবিশ্বেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। একের পর এক ওমিক্রনের নতুন উপসর্গ আরও আতঙ্কিত করছে সবাইকে। সম্প্রতি ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ভাইরাসের দুটি ‘অদ্ভুত’ লক্ষণ দেখা গেছে।

যদিও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওমিক্রনের উপসর্গ অনেকটা মৃদু। সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, কিছুক্ষেত্রে গলার স্বর পরিবর্তন, রাতে ঘাম হওয়া কিংবা পেশি ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে। এমনকি ওমিক্রনের প্রভাবে ফুসফুসে দীর্ঘমেয়াদী নিউমোনিয়াও হতে পারে বলে জানা গেছে!

এরই মধ্যে আবার জানা গেলো, ওমিক্রনের অদ্ভুত ২ লক্ষণ সম্পর্কে। হেলথলাইনের তথ্য অনুসারে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এনজিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম ২ (এসিই২) চোখের ভেতরের কিছু অংশে পাওয়া গেছে, যেমন- রেটিনা ও চোখের সাদা অংশে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু নাক বা মুখ দিয়েই নয়, এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে চোখের মাধ্যমেও। ওমিক্রন সংক্রণের ২ দিনের মধ্যেই রোগীর চোখ গোলাপি চোখ বা কনজেক্টিভাইটিস হতে পারে।

চিকিৎসকরা বলছেন, বাতাস থেকে নয় তো সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেই চোখ ভাইরাসের সংক্রমণে আসতে পারে। তারা জানিয়েছেন, কনজাংটিভাইটিস চোখের নরম অংশ ও কর্নিয়াকে ধাক্কা দিতে পারে এটি। তার সঙ্গে চোখের পাতায় জমে থাকা ধুলাবালির সঙ্গে বিক্রিয়া করেও বাড়তে পারে সমস্যা।

এমনটি ঘটলে চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়া কিংবা এগুলো ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন চোখের পাতা ফুলে যাওয়া ও নিচের অংশ অসম্ভব চুলকানো অনুভূত হতে পারে। জানা গেছে, ওমিক্রনে আক্রান্ত প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ এ সমস্যায় ভুগছেন।

ওমিক্রনের আরও একটি লক্ষণ হলো অত্যাধিক চুল পড়া। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশনের মতে, চুল পড়া কোভিডের একটি সাধারণ লক্ষণ। দীর্ঘদিন জ্বরে ভুগলে চুল পড়তে পারে। সংক্রমণের শেষের দিকে এই লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ওমিক্রনের প্রধান উপসর্গ কী কী?

কোভিডের প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো কাশি। সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, ওমিক্রন কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় মৃদু অসুস্থতার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে।

প্রত্যেকেরই এখন ওমিক্রনের প্রধান লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। করোনার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- একটানা কাশি, স্বাদ ও গন্ধ হ্রাস এবং জ্বর।

অন্যদিকে ওমিক্রনের উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে- শরীরে র‌্যাশ, নাক দিয়ে পানি পড়া, ক্লান্তি, হাঁচি, পিঠের নিচের দিকে ব্যথা, মাথাব্যথা, রাতে ঘাম ও পেশিতে ব্যথা।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রন ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার দুই দিনের মধ্যে এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। সিম্পটম ট্র্যাকার অ্যাপ জোয়ের বিজ্ঞানী প্রফেসর টিম স্পেক্টর জানিয়েছেন, ওমিক্রনের লক্ষণগুলো সর্দি-কাশির মতোই। তাই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগলে আইসোলেশনে থাকুন ও কোভিড পরীক্ষা করুন। -সূত্র: মিরর ইউকে

 

Leave a Comment

error: Content is protected !!