প্রেম করে বিয়ে করলে যে ঝামেলায় পড়তে হবে

প্রেম করে বিয়ে করার সবচেয়ে বড় সুবিধা এই যে, এক্ষেত্রে নিজের জীবনসঙ্গীকে আপনি নিজে বেছে নিতে পারেন। কিন্তু প্রণয়বিবাহের হ্যাপাও রয়েছে ষোলো আনা। কীরকম? এখানে রইল তেমনই ৭টি ঝামেলার কথা—

১. প্রেম করছেন বেশ কয়েক বছর। এবার দু’জনেই ভাবছেন, সেরে ফেলা যাক বিয়েটা। সেটা করতে গেলে প্রথমেই যে ঝামেলার মুখে পড়তে হবে আপনাকে তা হল, নিজের ভালবাসার কথা জানাতে হবে নিজের বাবা-মাকে।

২.আপনার ভালবাসার মানুষটির বাবা-মার সঙ্গে সাক্ষাতে অবধারিতভাবে সম্মুখীন হতে হবে কিছু টিপিকাল প্রশ্নের, যেমন, কী কী রান্না করতে পার, কিংবা কতো মাইনে পাও? এইসব প্রশ্ন ফেস করাও কম ঝামেলা নয়।

৩.ঝামেলার পরবর্তী স্তরে থাকেন আত্মীয়-স্বজন। আপনি চান বা না চান, আপনার এবং আপনার হবু বর/বউ-এর আত্মীয়রা নির্ঘাৎ বিবাহপ্রক্রিয়ার সবকিছুর সঙ্গে জড়িত হবেন আর মতামত প্রকাশ করবেন নিজেদের।

৪. তারপর শুরু হবে বাবা-মার জেরা— ছেলেটি/মেয়েটি কে, তার বাবা কী করেন, জাত কী, গোত্র কী… বাপ রে বাপ!

৫. পরবর্তী ঝামেলা— প্রেমিক বা প্রেমিকার বাবা-মার সঙ্গে নিজের বাবা-মার মোলাকাৎ। হেবি চাপের জিনিস বস্।

৬. বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বাবা-মাকে বোঝানোর পরে তাঁরা হয়ত বুঝলেন আপনার ভালবাসার গুরুত্ব। তারপর আসল চাপের জিনিস হচ্ছে, বাবা-মা-এর সঙ্গে ভালবাসার পাত্র বা পাত্রীর মোলাকাৎ করানো।

৭. আর এই সমস্ত ঝামেলা সামলে যদিবা আপনি বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছেও যান তাহলেও দেখবেন, বাবা-মার মুখে শুনছেন, ‘নিজের পছন্দের ছেলেকে/মেয়েকে বিয়ে করলি, একবারও বাবা-মার পছন্দটা ভাবলি না।’’ সেও কি কম ঝামেলা!

Leave a Comment

error: Content is protected !!