শীত নিবারণে গরীব নিন্ম আয়ের মানুষের ভরসা পুরাতন গরম কাপড়

শীত নিবারণে গরীব নিন্ম আয়ের মানুষের ভরসা পুরাতন গরম কাপড়। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চলমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির সময়ে শীত নিবারণের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে গরম কাপড় কিনতে গরিব ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা পুরনো কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির এই সময়ে হতদরিদ্রদের শীত নিবারণের একমাত্র ভরসা স্থল হচ্ছে পুরনো কাপড়ের দোকান।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের পুরাতন কাপড়ের দোকানে গিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুরাতন কাপড়ের দোকানে ব্লেজার, কোট, জ্যাকেট, সুয়েটার, মাফলার, ক্যাপ, হাত পায়ের মোজা, প্যান্ট, শাড়ি, লুঙ্গি, বেডশীট সহ সব ধরনের পোশাক রয়েছে। তবে পূর্বের তুলনায় এবার মূল্য কিছুটা বেশি।

পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম জানান, তাদের দোকানে একটি ব্লেজার বিক্রি হয়ে থাকে চার থেকে পাঁচশো টাকায়। যা নতুন কিনতে তিন থেকে চার হাজার টাকা লাগবে। একটি সুয়েটার ৫০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যার নতুন মূল্য হবে ৩ থেকে ৪০০ টাকা।

ক্রেতার রুহুল আমিন জানান, পুরাতন কাপড় গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আশীর্বাদ স্বরপ। এখান থেকে দুই হাজার টাকার কাপড় কিনলে পরিবারের সকলের চাহিদা মোটামুটি পূরণ করা সম্ভব।

উপজেলার আঠারবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা যেমন লাভ আছে তেমনি পুঁজিতে টান পরার আশঙ্কাও থাকে। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে গাইড হিসেবে কাপড় কিনে হয়ে থাকে। কেনার সময় ভেতরে কি ধরনের কাপড় আছে তা দেখার কোন সুযোগ নেই। গাইড খোলার পর ভালো মাল বের হলে অনেক লাভ হয়। যেমন ব্লেজার কোট সুয়েটার জ্যাকেট এমন মাল থাকলে প্রতি গাইডে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে। আর যদি লুজ মাল হয় তবে মূলধন রক্ষা করাই কঠিন হয়ে পড়ে। এসব লুজ মাল পরে গুড হিসেবে ত্রিশ চল্লিশ টাকা বা আরো কমেও বিক্রি করতে হয়।

ঈশ্বরগঞ্জের ব্যবসায়ী বাহার উদ্দিন জানান, একটি গাইড কিনতে ২০ থেকে ২২হাজার টাকা লাগে। অগ্রহায়নের মাঝামাঝি থেকে পৌষ মাঘ মাস পর্যন্ত শীতের কাপড় পর্যাপ্ত পরিমাণে বিক্রি হয়ে থাকে। দুই আড়াই মাসে ভাগ্য ভালো থাকলে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা লাভ হয়ে থাকে।

Leave a Comment

error: Content is protected !!