শ্রীদেবী প্রস্থানের দুই বছর

আফজালুর ফেরদৌস রুমনঃ তিনি বলিউড নামক আকাশের একমাত্র’ চাঁদনী’। বলিউডের প্রথম নারী সুপারস্টার বা বলিউডের প্রথম এক কোটি রুপি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী বা হলিউডের প্রখ্যাত পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গের সিনেমার অফার ফিরিয়ে দেয়ার মতো সাহস রাখা অভিনেত্রী এরকম নানা খেতাব বা উপমা তার নামের সাথে জুড়ে দেয়া যায় অবলীলায়।

৫৪ বছরের জীবনকালে ৫০ বছরই কাটিয়েছেন রুপালী পর্দায় এক জ্বলজ্বল করা তারা হয়ে। ৩০০টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তিনি আর কেউ নন তিনি সুপারস্টার শ্রীদেবী।

২০১৮ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ছিল বলিউডের এক শোকের দিন। কোটি হৃদয়ের রানী, সবচেয়ে দীর্ঘ সময় জুড়ে পর্দায় রাজত্ব করা শ্রীদেবী সেদিন দুবাইতে শেষবারের মতো চোখ বুঝেছিলেন। তার আকস্মিক মৃত্যু বলিউডের ঝলমলে জগতকে শুধু হতবাকই করে দেয়নি, বরং তাঁর কোটি ভক্তের হৃদয়ে বয়ে আনে মৃত্যুর অন্ধকার মেঘ, বিশেষত যারা আশি ও নব্বইয়ের দশকে হিন্দি সিনেমার ভক্ত ছিলেন।

বর্তমান প্রজন্মের এই প্রতিভাবান ও প্রভাবশালী অভিনেত্রীর সাথে যতটা না পরিচয় আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি শ্রীদেবীর নাম ও প্রতিভার সাথে পরিচয় এর আগের প্রজন্মের, নাগিন আর মি. ইন্ডিয়া দেখে যারা বড় হয়েছেন তাদের। নায়ক কেন্দ্রীক বলিউডের সিনেমার জগতে নায়িকার জয়জয়কারের এক নতুন পরম্পরা শুরু হয় এই অসামান্য সুন্দরীর হাত ধরে। তার চঞ্চল হাসি, টানাটানা চোখ আর অসাধারন ড্রেস সেন্স নব্বইয়ের দর্শকের হৃদয়ে আজো অম্লান।

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘসময় পর্দায় নায়িকা হয়ে বাজিমাত করতে থাকা এই নায়িকার অভিনয়ের জীবন কিন্তু শুরু হয় একদম ছোট্টবেলা থেকেই। তারপর থেকে জীবনের মোড়গুলোও কিন্তু তাঁর জন্য সিনেমার জগতের চেয়ে কম ঝলমলে আর রোমাঞ্চকর ছিলো না। সুবিশাল সাফল্য, পর্দার জগতে সেই সময় একজন নায়িকার জন্য সম্ভবত সর্বোচ্চ নামডাক ও জনপ্রিয়তা, একের পর এক সর্বোচ্চ পুরস্কার, আলোচনা-সমালোচনায় ভরপুর ব্যক্তিগত জীবন ও প্রেম, প্রণয় শেষে পরিণয়, দীর্ঘ এক দশকের বিরতির পরেও প্রথম কোনো নায়িকার আবার পর্দায় প্রধান চরিত্রে সবচেয়ে জমকালোভাবে ফিরে আসা আর সবশেষে নিজের সমস্ত গরিমা নিয়ে আকস্মিক বিদায়- রোমাঞ্চকর কোনো সিনেমার গল্পের চেয়ে কম চাঞ্চল্যকর নয় তার জীবনে।

আজীবন নিরামিষাশী শ্রীদেবীর জন্ম ভারতের মাদ্রাজে ১৯৬৩ সালের ১৩ আগস্ট। শ্রীদেবী নামেই জগতে পরিচিত হলেও জন্মগতভাবে তার প্রকৃত নাম শ্রী আম্মা ইয়াগার আইয়াপ্পা। বাবা ছিলেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা আইয়্যিপা আর তেলেগু মায়ের নাম রাজেশ্বরী। দুই সৎ ভাই আর নিজের এক বোনের সাথে কাটে এই নায়িকার শৈশব।

ছেলেবেলায় যে বয়সে আর দশটা শিশু স্কুলের ব্যাগ নিয়ে ছোটাছুটি করে, সেই বয়স থেকেই শ্রীদেবী জুড়ে যান অভিনয়ের জগতের সাথে। স্কুলে আসা-যাওয়ার চেয়ে অভিনয়ের মঞ্চে আসা-যাওয়াতেই তার শৈশবের বেশিরভাগ কাটে। সেই থেকেই শুরু এই নক্ষত্রের পথচলা।

মাত্র চার বছর বয়সে ১৯৬৯ সালে অভিনয় করেন তামিল সিনেমা ‘থুনায়ভান’তে। এরপরে শিশু শিল্পী হিসাবে আরো অনেক তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম আর কান্নাডা সিনেমায়। বলিউডে তাঁর অভিষেক ঘটে শিশুশিল্পী হিসাবে ‘রানী মেরা নাম’ সিনেমাতে। মাত্র তেরো বছর বয়সে তিনি প্রথম অভিনয় করেন প্রথম সারির চরিত্রে, এই ত্রিকোণ প্রেমের গল্পে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে হিসাবে।

তামিল ও তেলেগু সিনেমাতে নায়িকা হিসাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তার পরে ১৯৭৯ সালে ‘সোলভা সায়ান’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসাবে তার যাত্রা শুরু হয় এবং ১৯৮৪ সালে ‘হিম্মতওয়ালা’ সিনেমার মাধ্যমে সবার নজরে আসেন। এরপর তার গল্পটা কেবল সফলতার এবং একের পর এক সিনেমার পর্দা কাপানো গল্প। তার ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় যোগ হতে থাকে একের পর এক নাম- ‘মাওয়ালি’, ‘তোহফা’, ‘নায়া কাদম’, ‘মাকসাদ’, ‘মাস্টারজি’, ‘নাজরানা’, ‘মি.ইন্ডিয়া’, ‘ওয়াক্ত কি আওয়াজ’, ‘চাঁদনী’ ‘নাগিনা’, ‘সাদমা’, ‘চালবাজ’, ‘খুদা গাভাহ’, ‘লামহে’, ‘গুমরাহ’, ‘লাডলে’ আর ‘জুদাই’য়ের মতো সিনেমাগুলো শ্রীদেবীর নাম ভারতের চলচ্চিত্র জগতে যেন সোনালি অক্ষরে লিখে দেয়।

শ্রীদেবীই প্রথম নায়িকা হিসাবে এই জগতে এতো দীর্ঘস্থায়ী স্থান দখল করে রাখেন। সেই সাথে তিনি নিজের ঝুলিতে নিয়ে আসেন প্রচুর স্বীকৃতি, সম্মান আর জনপ্রিয়তা। আফগানিস্তানে শুটিং হওয়া এক আফগানি মেয়ের প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত ‘খুদা গাভাহ’ এখনো আফগানিস্তানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর একটি।

অভিনেত্রী হিসেবে তার এই উথানের পেছনে তার পরিবারের অবদানও কিন্তু কম নয়। জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত শ্রীদেবীর মা বা বড় বোন কেউ একজন সব সময় তার সাথে শুটিংয়ের স্থানে আসতেন। অবশ্য এই ঘটনা থেকে আরো একটি কথা বোঝা যায় যে, রক্ষণশীল মায়ের যথেষ্ট প্রভাবের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। পরবর্তীতে তার মেয়েদের বেলায়ও তিনি নিজে যথেষ্ট রক্ষনশীল এবং কেয়ারিং ছিলেন বলেই জানা যায়।

সিনেমার মতোই তার ব্যক্তিগত জীবন দারুণ ঘটনাবহুল আর তা একসময় পত্রিকার পাতায় আর আলোচনায় ভালোই স্থান দখন করে। তখনো তিনি তামিল আর তেলেগু সিনেমাগুলোরই নিয়মিত নায়িকা। প্রযোজক বনি কাপুর এক তামিল সিনেমায় শ্রীদেবীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। তিনি চেন্নাইতে নায়িকার বাসা পর্যন্ত ছুটে যান কিন্তু শ্রীদেবী সিংগাপুরে থাকায় ভগ্নহৃদয় নিয়ে ফিরে আসেন।

১৯৭৯ সালে ‘সোলা সায়ান’ দেখার পর বনি সরাসরি শ্রীদেবীর সাথে দেখা করতে তার শুটিংয়ের স্থানে ছুটে যান। অন্তর্মুখী নায়িকা তখন বনিকে তার মায়ের সাথে কথা বলতে বলেন, যিনি অভিনয়ের জন্য বনির কাছে সেসময় প্রায় দশ লাখ রুপি দাবি করেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বনি ১১ লাখ রুপি পারিশ্রমিক দিতে রাজি হন। শ্রীদেবীর মা কিন্তু এতে বনির প্রতি বেশ ভালো মনোভাবই পোষণ করেন।

পরবর্তীতে বনি স্বীকার করেছেন যে, এই সবই তিনি করেছেন শ্রীদেবীর কাছাকাছি থাকার জন্য। বনি কাপুর প্রথম দর্শনেই শ্রীদেবীর প্রেমে পড়ে গেলেও শ্রীদেবী কিন্তু বেশ সময় নেন তার সিদ্ধান্ত নিতে। বনি কাপুর তখন বিবাহিত আর দুই সন্তানের জনক। বলতেই হবে, শ্রীদেবীর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়াটা মোটেও সহজ ছিলো না। মি.ইন্ডিয়া সিনেমার শুটিং চলাকালীন শ্রীদেবী বনি কাপুরের প্রতি আস্তে আস্তে আকৃষ্ট হতে শুরু করেন। বনি নিজে নায়িকার সকল প্রয়োজন আর সুবিধার দিকে নজর রাখতেন।

এমনকি ওই সময়েই নায়িকার জন্য আলাদা মেকআপ রুম গঠন করা হয়। পরবর্তী সিনেমা ‘চাঁদনী’ শুটিংয়ের সময় বনি নায়িকার সাথে সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করেন এবং ফিরে এসে নিজেই স্ত্রী মোনা কাপুরকে এই ব্যপারে বলেন। শ্রীদেবীকে সেই সময় অন্যের ঘর ভেঙে দেওয়া এক নারী হিসাবে দেখা হতো, আলোচনা-সমালোচনা হতো।

শ্রীদেবী নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমিও একসময় তাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম, যদিও তা মেনে নেওয়া ছিলো আমার জন্য কঠিন এবং যন্ত্রণাদায়ক। তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে আমার কয়েক বছর সময় লাগে। কিন্তু একসময় আমি বুঝলাম তিনিই আমার জীবনের স্বপ্নের পুরুষ আর আমি আসলেই সুখী তার সাথে। আমি আনন্দিত যে আমি তা বুঝতে পেরেছিলাম।”

বিয়ের পরপরই বলিউডের এই রানী প্রায় ১৫ বছর অভিনয় জগত থেকে বিরতি নেন। স্বামী, সংসার, এবং সন্তানদের নিয়ে কাটান ১৫ বছর। মাঝে স্বামীর প্রোডাকশন হাউজ দেখাশোনা করেছেন কিছুদিন। এরপর ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ সিনেমার মাধ্যমে আবার যখন ফিরে আসেন, তা যেন আসলেই রানীর মতোই হয়। ব্যবসায়িকভাবে সফল ২০১২ সালের এই সিনেমা দিয়ে তিনি প্রমান করেন ‘চাঁদনী’র আলো এতটুকুও অম্লান হয়নি। সুপারহিট হয় সিনেমাটি সাথে সাথে বয়সের সাথে মানানসই এক চরিত্র ‘শশী’ দিয়ে তিনি জয় করেন সবার মন। তারপর একটি তামিল সিনেমাতেও দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে।

এরপর তিনি আসেন তার ৩০০তম সিনেমা ‘মম’ নিয়ে, যথারীতি এই সিনেমাতেও তিনি প্রমাণ করেন যে সময় তার প্রতিভাকে একটুও ম্লান করতে পারেনি। বিরতি তাকে পরিপূর্ণ করেছে। তার ক্ষুরধার প্রতিভা এখনো পাল্লা দিতে পারে যেকোন নবাগতার সাথে। শেষ সিনেমা ‘মম’ দিয়ে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। কিন্তু সেটি নিজের হাতে নিতে পারেননি তিনি। তার মৃত্যুর পর তার দুই মেয়ে জাহ্নবী এবং খুশি ভারতীয় চলচ্চিত্রের এই সর্বোচ্চ পুরস্কার মায়ের তরফ থেকে গ্রহন করেন।

জীবনের শেষ সময়ে ব্যস্ত ছিলেন নিজের পরবর্তী সিনেমার প্রস্তুতি এবং তার বড় মেয়ের বলিউডে অভিষেক হওয়া নিয়ে। নিজের মেয়ের সিনেমা মুক্তির কিছুদিন আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। তবে সিনেমাটির প্রথম ২০ মিনিট দেখে যেতে পেরেছিলেন তিনি। মেয়ে জাহ্নবী কাপুরের কাছে মা হারানোর বেদনার মধ্যেও দিনশেষে প্রাপ্তি এটাই। করন জোহরের ‘কলাংক’ সিনেমার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু কে জানতো ননদের ছেলের বিয়েতে অংশগ্রহণ করতে দুবাই যেয়ে আর ফিরবেন না এই বলিউড সুপারস্টার। হোটেলের বাথরুমে বাথটাবে পড়ে মারা যাবেন তিনি তা যেন বিশ্বাস করতে এখনো নারাজ তার ভক্তরা। তবুও এটাই সত্যি। সিনেমার মতো করেই একরাশ হতাশা, অনেক প্রশ্ন আর না জানা অনেক উত্তর জমা রেখে ওপারে পাড়ি জমালেন এই সুন্দরী অভিনেত্রী।

সবকিছু একপাশে সরিয়ে তার অসন্তোষ ছিল মনে হয় একটি জায়গায় সেটি হচ্ছে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়া। বলা হয় প্রায় ২১ বার ছুরি-কাচির কাছে নিজেকে সপে দিয়েছিলেন তিনি। প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন একাধিকবার। নানা রকম ওষুধ খেতেন যাতে চামড়ায় বয়সের ছাপ না পড়ে। তার মৃত্যুর পরে এসব বিষয় নিয়েও আলোচনা -সমালোচনা শুনতে পারা গিয়েছিল। তার শেষযাত্রায় হিন্দুরীতি অনুযায়ী তাকে তার পছন্দের কাঞ্জিভরম, ফেভারিট কুন্দনের হার আর লাল লিপিস্টিক এবং কাজল দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী রানি মূখ্যার্জি।

ইন্ডাস্ট্রিতে রেখা, হেমা মালিনী তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন। মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে প্রেম এবং বিয়ের নানা গল্প চাউর ছিল কিন্তু প্রকাশ্যে দুজনের কেউই এনিয়ে কোন কথা বলেননি। ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা এবং অভিনেতা শাহরুখ খানের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। রানী মুখ্যার্জিকে নিজের ছোট বোনের মতো আদর করতেন তিনি।

শ্রীদেবী কথা বলতেন কম, কিন্তু যেটুকু বলতেন সেটুকু বেশ শক্তভাবেই উপস্থাপন করতেন। তার উপস্থিতি সকল লাইমলাইট তার দিকেই নিয়ে নিতো। জয়াপ্রদা এবং মাধুরীর সাথে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল কিন্তু শত্রুতা না। দক্ষিনের এনটি আর, রজনীকান্ত, কমল হাসানের সাথে তার সার্বাধিক সিনেমা। তাই তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল আলোচনায়।

শ্রীদেবী চলে যাওয়ার সাথে তার জীবন সম্পর্কিত আরো অনেক প্রশ্নই মাথা নাড়া দিয়ে উঠেছিল। সত্যিই কি এই অত্যন্ত জনপ্রিয় নায়িকা ব্যক্তিজীবনে ততটাই সুখী ছিলেন, যতটা বাইরে থেকে দেখা যেতো? তার পেশাগত ও ব্যক্তিজীবনে মায়ের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের জন্য কি অভিমান জমেনি কখনো তার মনে? হাজারো পুরুষের কামনার এই নারীর কি তার ভালোবাসা আর বিয়ের অসঙ্গতি নিয়ে কোন ক্ষোভ জমে ছিলো মনে শেষ পর্যন্ত? এই সকল প্রশ্নের উত্তর অসম্পূর্ণ রেখে তিনি চলে গেছেন পার্থিব জীবনের অনেক উর্ধ্বে। কিন্তু চলে গেলেও তার প্রতিভা আর ব্যক্তিত্বের সাক্ষর থেকে যাবে বিনোদনের ঝলমলে জগতে আর লাখো ভক্তের হৃদয়ে।

আজ তার মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। তার অন্তিম বিদায়ে পুরো মুম্বাই স্থবির হয়ে ছিল। লাখ লাখ মানুষ শেষবারের মতো দেখতে এসেছিলেন বলিউডের ‘দেবী’ শ্রীদেবীকে। তাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বিদায় নিয়েছিলেন দুনিয়া থেকে কিন্তু ভক্তদের মন থেকে নয়।

সুত্র- ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দলোক

Leave a Comment

error: Content is protected !!