বংশগত কারণে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের ঝুঁকি ২০ শতাংশ

বংশগত কারণে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের ঝুঁকি ৫ থেকে ২০ শতাংশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, স্বল্প পরিসরে গবেষণায় দেখা গেছে, স্তন ক্যানসারে আক্রান্তদের মধ্যে ২০ শতাংশেরই বংশে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস আছে। যাদের বংশে এই রোগের ইতিহাস আছে তাদের সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

সোমবার কাওরান বাজার বিটিএমসি ভবনে আয়োজিত ‘বংশগত কারণে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা এসব তথ্য জানান। বাংলাদেশ ক্যানসার স্টাডি গ্রুপ ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।

সভায় চিকিত্সকরা বলেন, বংশে প্রথম রক্তের সম্পর্ক যেমন—মা, খালা, ফুপু, নানি-দাদি, বোন—ব্যক্তিদের কারো যদি স্তন ক্যানসার হয়ে থাকে, তাহলে পরিবারের অন্য সদস্যরা স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের ঝুঁকিতে আছেন ২৯ ভাগ বেশি। তাই স্ক্রিনিংয়ের ওপর জোর দেন বিশেষজ্ঞরা। শুরুতে স্তন ক্যানসার শনাক্ত হলে ৯৫ ভাগ সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

দেশে প্রতিদিন ৩৫ জন নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। মারা যাচ্ছেন ১৯ জন। আগে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ৪০-এর বেশি বয়সি হলেও এখন বিভিন্ন কারণে নারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। ফলে ২৫ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে নিজ হাতে স্তন পরীক্ষা করাতে বললেন চিকিত্সকরা।

সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (সার্জিক্যাল অনকোলজি) সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজি বিভাগের চিকিত্সক ডা. মামুন অর রশীদ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিনের চিকিত্সক ডা. মোহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর তথ্য উপস্থাপন করেন ক্যানসার স্টাডি গ্রুপের ফাউন্ডার ফেলো এবং জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (মেডিক্যাল অনকোলজি) সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

Leave a Comment

error: Content is protected !!